গাজীপুর: রফিকুল ইসলাম মাদানীকে ৫ দিনের রিমান্ডে কারাগার থেকে তেজগাঁও থানায় নেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৫ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে তাকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার মো. আবু সায়েম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকার তেজগাঁও থানায় ২৩(৪)২১ নং মামলায় আদালতে রিমান্ড আবেদ করে পুলিশ। পরে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই মামলায় রোববার পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে তেজগাঁও থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ রফিকুল ইসলাম মাদানীর হাজতি নং-৯৩৮/২১।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় ৭ এপ্রিল রফিকুল ইসলাম মাদানীকে তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলার লেটিরকান্দা থেকে আটক করে র্যাব। পরের দিন ৮ এপ্রিল গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন র্যাব। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
পরে ১৩ এপ্রিল গাছা থানা পুলিশ গাজীপুর আদালতে রফিকুল ইসলাম মাদানীর ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তারপর ১৫ এপ্রিল আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে ১৮ এপ্রিল দুপুর পৌনে ২টার দিকে ২ দিনের রিমান্ডে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে কারগার থেকে গাছা থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এছাড়া গত ১১ এপ্রিল গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানায় স্থানীয় এক ব্যক্তি রফিকুল ইসলাম মাদানী বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। ওই মামলায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২১ এপ্রিল দুপুরে আদালতে রিমান্ড চাওয়া হয়। পরে ভার্চ্যুয়ালি কোর্টের মাধ্যমে শুনানি শেষে আদালত রফিকুল ইসলাম মাদানীর ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। পরে ২২ এপ্রিল দুপুর সোয়া ১টার দিকে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে ২ দিনের রিমান্ডে বাসন থানায় নেওয়া হয়েছিল। রিমান্ড শেষে ওই দুই থানা থেকে তাকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়।
রফিকুল ইসলাম মাদানী নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার লেটিরকান্দা গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ১৫২১
আরএস/এএটি