ঢাকা: ঢাকার আশুলিয়ায় নিখোঁজের ২৭ দিন পর সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই আসামি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান সিকদার ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
স্বীকারোক্তি দেওয়া দুজন হলেন- সাভার রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অংশীদার রবিউল ইসলাম ও তার ভাগিনা বাদশা। এছাড়া মোতালেব হোসেন নামে অপর এক আসামির সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফুজ্জামান।
এদিন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপদির্শক (এসআই) মিলন ফকির তিন আসামিকে আদালতে হাজির করেন। তাদের মধ্যে রবিউল ও বাদশা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন। অপরদিকে, আসামি মোতালেবের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিউল ও বাদশার জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। অপরদিকে, মোতালেবের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আশুলিয়ার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ১৩ জুলাই থেকে সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণ নিখোঁজ ছিলেন। তাকে খুঁজে না পেয়ে গত ২২ জুলাই তার ছোট ভাই রিপন চন্দ্র বর্মণ আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। মিন্টু বর্মণের সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অংশীদার রবিউল ও মোতালেব ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে ছিলেন।
রোববার মধ্যরাতে রবিউলকে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে আটক করে র্যাব। পরে জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল জানায়, গত ১৩ জুলাই রাতে রবিউল ও তার ভাগিনা অধ্যক্ষকে হত্যা করেন। স্কুলে সান্ধ্যকালীন কোচিং পরবর্তী রাত ৯টায় রবিউল ও তার ভাগিনা বাদশা অধ্যক্ষ মিন্টু বর্মণকে স্কুলের ৬ নম্বর কক্ষে ডেকে নেন। প্রথমে বাদশা তার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন। পরে রবিউল ও বাদশা দুজন মিলে মিন্টু চন্দ্রকে ছয় টুকরা করে পাঁচ টুকরা স্কুলের ভেতরেরই মাটি চাপা দেন। আরেকটি অংশ পলিথিনে মুড়ে রাজধানীর আশকোনাতে একটি ডোবায় ফেলে দেন।
মোতালেবকে রাজধানীর আশকোনা থেকে এবং বাদশাকে রংপুরের সুন্দরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২১
কেআই/ওএইচ/