ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পরীমনির রিমান্ড: বিচারকের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন হাইকোর্ট 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১
পরীমনির রিমান্ড: বিচারকের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন হাইকোর্ট  পরীমনি

ঢাকা: মাদক মামলায় গ্রেফতার চিত্রনায়িকা পরীমনি ওরফে শামসুন নাহার স্মৃতিকে ২য় ও ৩য় দফা রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি হাইকোর্ট।

ব্যাখ্যার কিছু হাইকোর্ট আইনজীবীদেরকে পড়ে শোনান।

এরপর আদালত শুনানি ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন।  

এর আগে বুধবার সকালে মামলার নথিসহ (সিডি) তদন্তকারী কর্মকর্তা হাইকোর্টে হাজির হন।  

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহিয়া দুলাল ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান। আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না।

২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ ২ বিচারককে ব্যাখ্যা দিতে এবং তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজির হতে নির্দেশ দেন।

২২ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে তার জামিন আবেদন করা হয়। আদালত ১৩ সেপ্টেম্বর জামিন আবেদনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। পরদিন আবেদনটি দ্রুত শুনানির জন্য আরও একটি আবেদন দেন কিন্তু সেটিরও শুনানি হয়নি।
এরপর মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে ২৬ আগস্ট ওই আবেদন করেছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। এতে বিলম্বে দিন নির্ধারণ করার বৈধতা চ্যালেঞ্চ করা হয়েছিল। এরপর আদালত রুল জারি করেন এবং শুনানির জন্য ১ সেপ্টেম্বর দিন রাখেন।
এর মধ্যে তিন দফায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বৈধতা নিয়ে ২৯ আগস্ট  স্বপ্রণোদিত রুল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক)। ওইদিন আদালত বলেছেন, রুল রিটার্ন হয়ে আসুক, এরপর দেখব।

দুই দিন পর ৩১ আগস্ট মঙ্গলবার শুনানি করে পরীমনিকে জামিন দেন মহানগর দায়রা জজ আদালত। ১ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মু্ক্ত হন।

এদিকে ধার্য তারিখ অনুসারে একইদিন রুল শুনানির জন্য হাইকোর্ট মামলাটি কার্যতালিকায় ওঠে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহিয়া দুলাল ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
আসকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। পরীমনির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মজিবুর রহমান।

৪ আগস্ট বিকেল ৪টার পরপরই বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।

এরপর ৫ আগস্ট চারদিন এবং ১০ আগস্ট পরীমনির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ১৯ আগস্ট তৃতীয় দফায় এক দিনের রিমান্ড হয়। রিমান্ড শেষে তাকে ২১ আগস্ট কারাগারে পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১
ইএস/এসআইএস  
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।