ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

জামায়াতের সেক্রেটারিসহ সাতজন রিমান্ড শেষে কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১
জামায়াতের সেক্রেটারিসহ সাতজন রিমান্ড শেষে কারাগারে

ঢাকা: রাজধানীর ভাটারা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ সাতজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন- জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য ইজ্জত উল্লাহ, সাবেক সংসদ সদস্য আ ন ম শামসুল ইসলাম, মোবারক হোসেন, ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত ও রফিকুল ইসলাম খান এবং তার বাবুর্চি ইমাম হোসেন।

সিএমএম আদালতে ভাটারা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা রনপ কুমার এ তথ্য জানান।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক (নি.) কাজী ওয়াজেদ মিয়া রিমান্ডে থাকা ৭ আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে মামলা সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে, যা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। মামলার সুষ্টু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল না করা পর্যন্ত তাদের জেল-হাজতে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, ‘তারা দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার কাজে জড়িত বিধায় জামিনে মুক্তি পেলে পুনরায় একইরকম কাজ করে জননিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটাবে। দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি রোধ এবং নৈরাজ্য বন্ধের লক্ষ্যে আসামিদের জামিনের বিরোধিতা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আসামিপক্ষে আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকজন আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইজ্জত উল্লাহ, আ ন ম শামসুল ইসলাম, মোবারক হোসেন ও রফিকুল ইসলাম খান অসুস্থ থাকায় তাদের চিকিৎসার আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে ভাটারা এলাকা থেকে গোলাম পরওয়ারসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। গত ৭ সেপ্টেম্বর তাদের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই রিমান্ড শেষে ১২ সেপ্টেম্বর মনিরুল ইসলাম ও আবুল কালাম নামে দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আর গোলাম পরওয়ারসহ ৫ জনের আরও দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।

এরই মধ্যে ১০ সেপ্টেম্বর সাবেক সংসদ সদস্য আ ন ম শামসুল ইসলাম এবং তার বাবুর্চি ইমাম হোসেনের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

পুুলিশ জানায়, জামায়াতের নেতারা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। বৈঠকে তারা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন।

এ ঘটনায় ভাটারা থানার এসআই হাসান মাসুদ মামলাটি দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১
কেআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।