ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ভুয়া’ ভিডিও ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানির অভিযোগে গ্রেফতার বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক রুমা সরকারের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৪ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এই আদেশ দেন।
গত ২১ অক্টোবর রুমা সরকারের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষে কারাগারে তাকে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম। আসামিপক্ষে ১৫/২০ জন আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের বাসা থেকে রুমা সরকারকে আটক করে র্যাব-৩। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে র্যাব তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৮/৩১ ধারায় এই মামলা দায়ের করে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, তিনি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোয়াখালীর যতন সাহার হত্যার শিরোনামে একটি অন্য ঘটনার ভিডিও আপলোড করে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক গুজব সৃষ্টির মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্টের অপপ্রয়াস চালান, যা বিভ্রান্তিমূলক। প্রকৃতপক্ষে ভিডিওটি গত ১৬ মে বিকেল চারটার সময় ঢাকার পল্লবী থানাধীন ডি-ব্লকের শাহিন উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার ভিডিও।
এ সময়ে সনাতন ধম্বালম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২১ কেন্দ্রিক সহিংসতাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট এর ঘটনা ঘটানো হচ্ছিল। দেশের এই সময়ে এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে রুমা সরকার গত ১৯ অক্টোবর দুপুর ২টা ৩৫ মিনিট থেকে ২টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত ফেসবুক লাইভে আসেন।
লাইভে তিনি বলেন, ‘আমি ভুল করে যতন সাহার মৃত্যুর দৃশ্য দেখে ফেলেছিলাম। গরুর মাংস যেভাবে কুপিয়ে বানায়, আহা হিন্দুদের প্রতি তোর এত ক্ষোভ। তোরা অমানুষ, হত্যার পর এইভাবে কোপালি কেন?’
দেশের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে নাজুক পরিস্থিতিতে তার লাইভ ভিডিওটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ও ভয়ভীতি ছড়াতে সাহায্য করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২১
কেআই/এমজেএফ