ঢাকা: বাংলাদেশে সম্প্রচারিত বিদেশি টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে জারি রুল শুনানির জন্য ২৭ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ঠিক করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া।
২০১৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বর জনস্বার্থে রিটটি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহীন আরা লাইলী।
ওইদিন আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া বলেন, ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক কার্যক্রম পরিচালনা অনুসারে বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য বিদেশি কোনো চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচারে বাধা-নিষেধ রয়েছে।
‘ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬’ এর সম্প্রচার বা সঞ্চালনের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ সংক্রান্ত ১৯ ধারায় বলা হয়েছে, ‘সেবা প্রদানকারী ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যেসব অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করিতে পারবে না তা নিম্পত্তি, যথাঃ-(১৩) বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য বিদেশি কোনো চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন’।
একলাছ উদ্দিন বলেন, ওই আইন অনুসারে পরবর্তীতে ২০১০ সালে তথ্য মন্ত্রণালয় একটি বিধিমালা তৈরি করে। সেখানেও বিধি-নিষেধের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বিদেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে অহরহ বাংলাদেশি বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। কিছু কোম্পানিও বিজ্ঞাপন দিয়ে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করছে। দেশি চ্যানেলে ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার হলেও বিদেশি চ্যানেলে সেটি হচ্ছে না। এতে দেশীয় টিভি চ্যানেলগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই আইন অনুসরণে এ রিট করা হচ্ছে।
আবেদনের শুনানি নিয়ে একই সালের ০৯ অক্টোবর বিচারপতি কাজী রেজা-উল্লাহ, বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রিট বিবাদীরা হচ্ছেন, তথ্যসচিব, বাণিজ্যসচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি)।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২১
ইএস/আরআইএস