ঢাকা: গৃহকর্মী পারভীন ওরফে ফেন্সি আরাকে (৩০) খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গৃহকর্তা সৈয়দ জসীমুল হক ও গৃহকর্ত্রী সৈয়দ সামিনা হাসান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকার দুজন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পৃথকভাবে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম তুরাগ থানার মামলায় দুই আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এ সময় আসামিরা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তিনি।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম আসামি সৈয়দ জসীমুল হকের ও অপর ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী আসামি সামিনা হাসানের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
সিএমএম আদালতে তুরাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা লিয়াকত আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোববার বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ঢাকা মেট্রো উত্তরের কার্যালয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, পারভীন গুলশানের নিকেতনে একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন। গৃহকর্তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক আছে, এমন সন্দেহে তাকে হত্যা করেন গৃহকর্ত্রী। পরে তার মরদেহ গুম করতে তুরাগের ঝাউবন এলাকায় ফেলা হয়।
এ ঘটনায় নিকেতন থেকে শনিবার (৪ ডিসেম্বর) গৃহকর্তা সৈয়দ জসীমুল হক (৬৩) ও গৃহকর্ত্রী সৈয়দা সামিনা হাসানকে (৬০) গ্রেফতার করে পিবিআই।
জানা যায়, ছয় বছর আগে জীবিকার সন্ধানে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় আসেন পারভীন। স্বামী রিকশা চালানো শুরু করেন এবং পারভীন গৃহকর্মীর কাজ নেন। এ বাসায় পারভীনকে মাসে সাত হাজার টাকা করে পারিশ্রমিক দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেওয়া হতো মাত্র এক হাজার টাকা করে।
পারভীনকে খুনের ঘটনায় তার স্বামী মোমিনুল ইসলাম তুরাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২১
কেআই/আরবি