ফেনী: প্রেমের সম্পর্ক থেকে শারিরীক মেলামেলায় কিশোরীর গর্ভধারণ। বিষয়টি জানাজানি হলে বিয়ে করতে যুবকের অস্বীকৃতি।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) ওই খালা ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট অপরাজিতা দাশের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। খালার নাম সাফিয়া খাতুন (৩৫)।
তিনি চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। বুধবার পুলিশ তাকে একটি মুঠোফোনের সূত্র ধরে পাহাড়তলীর ওই বাসা থেকে গ্রেফতার করে। কিন্তু মূল আসামি ও প্রেমিক নজরুল ইসলাম বাচ্চুকে (২৮) গ্রেফতার করা যায়নি। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে।
পুলিশ জানায়, ওই যুবক ও ওই কিশোরীর নানার বাড়ি সোনাগাজীর একই এলাকায় হওয়ার সুবাদে দুজনের মধ্যে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে শারীরিক মেলামেশা হয়। এতে ওই কিশোরী গর্ভধারণ করে। সাত মাসের অন্তস্বত্বা ওই কিশোরী বিয়ের জন্য যুবককে নানাভাবে চাপ দেয়। কিন্ত বিয়ে না করে বাচ্চু তার খালা সাফিয়া খাতুনের মাধ্যমে ওই কিশোরীকে প্রলোভনে ফেলে কৌশলে ওষুধ খাইয়ে গর্ভের সাত মাসের শিশু সন্তান নষ্ট করে।
এতে ওই কিশোরী একটি মৃত সন্তান প্রসব করে। এরপর ওই যুবক বিয়ে করতে অস্বীকার করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ২০২০ সালের ৯ মে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে সোনাগাজী থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি পরে ফেনী গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশে স্থানান্তর করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওসমান গনি জানান, মামলায় আসামিদের সঠিক ঠিকানা ছিল না। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একটি মুঠোফোন নাম্বার সংগ্রহ করা হয়। ওই মুঠোফোনের মাধ্যমে বুধবার ওই যুবকের খালা সাফিয়া খাতুনকে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি (সাফিয়া) বৃহস্পতিবার ফেনীর বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ওষুধ খাইয়ে ওই কিশোরীর পেটের সাত মাসের সন্তান নষ্ট করার কথা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান। আদালত তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেছে। পরে তাকে ফেনী কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পলাতক বাচ্চুকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২২
এসএইচডি/এসআইএস