ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

এটিএম কার্ড জালিয়াতি: তুর্কি নাগরিকের স্বীকারোক্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২২
এটিএম কার্ড জালিয়াতি: তুর্কি নাগরিকের স্বীকারোক্তি

ঢাকা: ঢাকায় একটি ব্যাংকের বিভিন্ন বুথ থেকে তিন দিনে ৮৪ বার টাকা তোলার চেষ্টার পর গ্রেফতার হওয়া এটিএম কার্ড জালিয়াতির আন্তর্জাতিক চক্রের সদস্য তুর্কি নাগরিক হাকান জানবুরকান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ ছিদ্দিকী ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

এছাড়া গ্রেফতার বাংলাদেশের নাগরিক মফিউল ইসলামকে রিমান্ড শেষে একই আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. মামুন অর রশিদ।

 এ সময় হাকান জানবুরকান আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড এবং মফিউল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তুর্কি নাগরিক হাকান জানবুরকান কারাগারে পাঠান। এছাড়া মফিউল ইসলামকেও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ১৯ জানুয়ারি পল্টন থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এ দুই আসামির পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ১৮ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর গুলশান-১ থেকে আসামিদের গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ।

এসময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি বিভিন্ন মডেলের ফোন, একটি ল্যাপটপ, ১৫টি ক্লোন কার্ডসহ মোট ১৭টি কার্ড জব্দ করা হয়।  

পুলিশ জানায়, গ্রেফতার, পলাতক ও অজ্ঞাতনামা আসামিসহ ৩/৪ জন আসামি ১৩টি ক্লোন এটিএম কার্ড ব্যবহার করে নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য অন্যের হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করে। এ ঘটনায়  সিটিটিসির উপপরিদর্শক পিটার বিশ্বাস পল্টন থানার মামলাটি দায়ের করেন।

জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জার্মানি, কানাডা, সৌদি আরব ও স্পেনে গিয়ে ওইসব দেশের নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ড ক্লোন করে বুথ থেকে টাকা তুলে নেন তুর্কি নাগরিক হাকান জানবুরকান। এভাবে প্রায় ৪০টি দেশের বুথ থেকে টাকা উত্তোলনের পর বাংলাদেশে আসেন তিনি। বাংলাদেশে এসেও একই কাজ শুরু করেন।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন হাকান জানবুরকান। এরপর গত ২-৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন বুথে গিয়ে কার্ড ক্লোনিং স্কেমিংয়ের মাধ্যমে শতাধিকবার টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। ইস্টার্ন ব্যাংক অ্যান্টি ফেমিং টেকনোলজি ব্যবহার করায় অ্যালার্ম সিস্টেমের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারে। ফলে তারা হ্যাকারদের হাত থেকে স্কেমিং রোধ করতে সক্ষম হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২২
কেআই/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।