ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মামলার ৪০, মৃত্যুর ২০ বছর পর নিষ্পত্তি হলো চেয়ারম্যানের আপিল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
মামলার ৪০, মৃত্যুর ২০ বছর পর নিষ্পত্তি হলো চেয়ারম্যানের আপিল

ঢাকা: হাটের ইজারার সাড়ে ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামালা হয়েছিল ১৯৮২ সালে। ১৯৮৭ সালে ৫ বছরের দণ্ড এবং ৪২ হাজার টাকা জরিমানা।

সেই দণ্ড ও জরিমানার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল হয় ১৯৮৮ সালে। এরমধ্যে আপিলকারী ২০০১ সালে মারা যান। তার প্রায় ২০ বছর পরে এসে সেই আপিল নিষ্পত্তি হলো।

এমন ঘটনা রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ১ নং বাজুবাঘা ইউনিয়নের প্রয়াত এক চেয়ারম্যানের।  

রাজশাহীর চারঘাটের ১ নং বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন আব্দুস সোবহান। তিনটি হাট লিজ দেওয়াকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে তৎকালীন  দুর্নীতি দমন ব্যুরো ১৯৮২ সালের ৯ জুন মামলা করে চারঘাট থানায়। মামলায় সাড়ে ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

এই মামলায় একই সালের ১০ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। বিচার শেষে ১৯৮৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে তাকে ৫ বছরের জেল ও ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ১৯৮৮ সালে আপিল (আপিল নং ১৮৬/১৯৮৮) করেন আব্দুস সোবহান। এই আপিল বিচারাধীন থাকাবস্থায় ২০০১ সালের ১৩ জুন মারা যান সোবহান।

কিন্তু আপিলে দুদককে পক্ষ করা হয়নি। পরে দুদক এই মামলায় পক্ষ হয়ে শুনানিতে অংশ নেয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম রাবেয়া (মিতি)।  দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ।

তিনি বলেন, আজকে হাইকোর্ট বিভাগ একটি অনেক পুরানো আপিল রায় দিয়ে নিষ্পত্তি করেছেন। একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে ৪০ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ছিল। এই অভিযোগে দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলা করে। সেই মামলায় ৫ বছরের সাজা এবং ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করেন। অনেক দিন পর আজকে রায়ের মাধ্যমে আপিলটি নিষ্পত্তি হলো। অলরেডি আপিলকারী মারা (২০০১ সালের ১৩ জুন) গিয়েছে। আপিলকারী মারা গেলে আইনের বিধান হচ্ছে আপিলটা অ্যাবেট(বাদ) হয়ে যাবে দণ্ড ও সাজার ক্ষেত্রে। কিন্তু জরিমানাটা থেকে যাবে। এখন এই জরিমানার বিষয়ে শুনানি হয়েছে। শুনানি শেষে আপিল মঞ্জুর করেছেন। এর মাধ্যমে আপিলের নিষ্পত্তি ঘটলো।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম রাবেয়া (মিতি) বলেন, যেহেতু ্আজ আপিল মঞ্জুর হয়েছে, সেহেতু ওই চেয়ারম্যানকে নিম্ন আদালতের দেওয়া ৫ বছরের সাজা বাতিল এবং জরিমানা মওকুফ হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো.আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো.সোহরাওয়ারদীর ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭,  ২০২২
ইএস/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।