ঢাকা: রাজধানীর মগবাজারের পেয়ারাবাগ এলাকায় সাংবাদিক এমদাদুল হক খানকে মারধর, মোটরসাইকেল ভাঙচুর, চুরির মামলায় জামিন পেয়েছেন রমনা থানা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি খোরশেদুল আলম ওরফে মাসুদ ও তার সহযোগী ইয়াসিন মোল্লা।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ রেজা নূরের আদালত বাদীর অনাপত্তিতে জামিনের আদেশ দেন।
২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার তাদের কারাগারে পাঠিয়ে জামিন শুনানির দিন রোববার ধার্য করেন আদালত।
এদিন দুই আসামির পক্ষে আইনজীবী দীপংকর ঘোষ জামিন শুনানি করেন।
শুনানিতে তিনি বলেন, ঘটনার বিষয়ে আসামিরা কিছুই জানে না। তারা পরিস্থিতির শিকার। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। সম্পূর্ণ অন্যায় ও বেআইনিভাবে তাদের মামলায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে। তাদের জামিনের প্রার্থনা করছি।
শুনানির সময় মামলার বাদী সাংবাদিক এমদাদুল হক খান আদালতে হাজির ছিলেন। আসামিদের জামিন দিলে আপত্তি নেই মর্মে আদালতকে জানান।
তিনি বলেন, মাসুদের স্ত্রী তার সহকর্মী। তার অনুরোধে এ দুই আসামির জামিনে অনাপত্তি দিচ্ছি। তবে পরবর্তীতে আসামিদের সঙ্গে সুষ্ঠু মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত মামলা চলমান থাকবে।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুই আসামিকে জামিনের আদেশ দেন।
হাতিরঝিল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক এএসএম মনিরুজ্জামান মণ্ডল এ তথ্য জানান।
জোর করে বাসায় ঢুকে হামলা চালিয়ে এমদাদুলকে জখম করে বাসা থেকে মালামাল চুরি, ভাঙচুর ও তার স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলায় বলা হয়, এমদাদুল যে ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন, সেটি খোরশেদুলের স্ত্রীর নামে। এমদাদুল তিন বছরের লিখিত চুক্তিতে সম্প্রতি এ ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন। বুধবার রাত ১১টার দিকে খোরশেদুল ও অজ্ঞাত দুই–তিনজন এমদাদুলের ফ্ল্যাটের কলিংবেল বাজান। এ সময় এমদাদুলের স্ত্রীর দরজা খুলে দিলে খোরশেদুল তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন এবং বাসার ভেতরে ঢোকেন।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই এমদাদুলকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন খোরশেদুল। এ সময় এমদাদুলকে বাঁচাতে গেলে তার স্ত্রীকেও মারধর করেন এবং তার গলা থেকে সোনার চেন ছিনিয়ে নেন। পরে খোরশেদুল তার সহযোগীদের নিয়ে বাড়ির গ্যারেজে থাকা মোটরসাইকলটি ভাঙচুর করেন।
আরও পড়ুন:
সাংবাদিকের ওপর হামলা: সাবেক যুবলীগ নেতা কারাগারে
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২১
কেআই/জেএইচটি