ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কনস্টেবলের মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২২
৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কনস্টেবলের মামলা

ঢাকা: মারধর, শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে দারুস সালাম থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) জামাল হোসেনসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে একটি মামলা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে গাজীপুর পুলিশ লাইনসের কন্সটেবল আ. রাজ্জাক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অপর দুই আসামি হলেন—দারুস সালাম থানার দুই উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) রফিকুল ইসলাম ও প্রসেঞ্জিত কুমার।

রোববার (১৩ নভেম্বর) সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাকিব চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত ১০ নভেম্বর মামলা দায়ের করা হয়। আজ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলায় ডিবির মিরপুর জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সাইফুল ইসলাম, এএসআই নজরুল ইসলামসহ ৭ জনের নাম সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, গত ১ মে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে দারুস সালামের ওয়াকআপ কলোনির একটি বাসা থেকে মাদক ও নারী ব্যবসায়ী রুবেল ইসলামসহ একটি মেয়েকে আটক করে তাদের কাছ থেকে নেশা জাতীয় দ্রব্য, ৩০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। বাদী বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় এক ব্যক্তি তাকে বিষয়টি পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করেন। আ. রাজ্জাক প্রথমে বিষয়টি পরিচিত ডিবির এএসআই নজরুল ইসলামকে জানান। কিন্তু তিনি ঢাকায় না থাকায় ডিবির এডিসি সাইফুলকে জানাতে বলেন। তিনি বিষয়টি এডিসিকে জানান।

পরে এডিসি বিষয়টি দারুস সালাম থানা পুলিশকে জানান। এরপর এসআই রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে রুবেলকে দেখে গ্রেফতার না করে বরং আ. রাজ্জাকের ওপর রাগান্বিত হন। এ সময় রফিকুল ইসলাম এবং তাকে গালিগালাজ করেন।

পরে থানায় গিয়ে তিনি পরিদর্শক জামাল হোসেনকে বিষয়টি জানান। জামাল হোসেন বাদীকে দেখা করতে বলেন। দেখা করতে গেলে জামাল হোসেনও তার ওপর রাগান্বিত হয়ে গালিগালাজ করেন। আ. রাজ্জাক গালিগালাজ না করতে অনুরোধ করলে আসামিরা বাদীর মা ও মেয়ের সঙ্গে তাকে মারধর করেন। বাদীর মা ও মেয়ে তাকে বাঁচাতে যান। আসামি প্রসেঞ্জিত বাদীর মেয়ের বোরকা ও নেকাফ ধরে টান দিয়ে তাকে চড়-থাপ্পর মারেন।

এ সময় বাদী আসামিদের জানান, তিনি ই-বিটা থেলাসিমিয়া রোগে আক্রান্ত। তাকে বেশি আঘাত করলে শারীরিকভাবে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। একথা শোনার পর আসামি তাকে আরও মারধর করেন। এক পর্যায়ে বাদী অজ্ঞান হয়ে যান।

তাকে চিকিৎসার জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে আবার থানায় নিয়ে আসে। আসামিরা বাদীকে বাসা থেকে ডেকে থানায় নিয়ে ৩০ পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে মামলা দেন। সেই মামলায় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি এই মামলা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২২
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।