ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘হানিফ’ ট্রেডমার্ক ব্যবহার নিয়ে আদেশ জালিয়াতি: ৪ জনকে তলব 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২২
‘হানিফ’ ট্রেডমার্ক ব্যবহার নিয়ে আদেশ জালিয়াতি: ৪ জনকে তলব  ফাইল ফটো

ঢাকা: 'হানিফ' ট্রেডমার্ক ব্যবহার নিয়ে আদালতের জাল ও ভুয়া আদেশ তৈরির ঘটনায় বাদী বিবাদীসহ চারজনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

বিষয়টি নজরে আসার পর সোমবার (১৪ নভেম্বর) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ভুয়া আদেশে দেখা যায়, বাদী চট্টগ্রামের কোতোয়ালির রিয়াজ উদ্দিন বাজারের হানিফ পরিবহন সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন।

বিবাদী হিসেবে দেখানো হয়েছে চট্টগ্রামের নিউ আমানত শপিং সেন্টারের হানিফ সুপার প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুল ইসলামসহ ৭ জনকে।

২৪ নভেম্বর হাইকোর্টে হাজির হতে হবে কামাল উদ্দিন, আনিসুল ইসলাম,প্যাটেন্ট-ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার ও ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে।  

আর এই ভুয়া আদেশ তৈরির সঙ্গে কেউ জড়িত কিনা, তা তদন্ত করতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ উল্লেখ করে গত ২৩ অক্টোবরের একটি জাল আদেশ তৈরি করা হয়। ওই জাল আদেশের রিট আবেদনের নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে ১৫৩২১/২০২২। রিট আবেদনকারী হলেন হানিফ পরিবহন সার্ভিস লিমিটেড। আর এতে বিবাদী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- বাণিজ্য সচিব, শিল্প সচিব, প্যাটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার, ডেপুটি রেজিস্ট্রার, যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার এবং হানিফ সুপার প্রাইভেট লিমিটেডের এমডি আনিসুল ইসলামকে।  

আদেশে ওই বেঞ্চের আইন কর্মকর্তা হিসেবে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা এখন আর আইন কর্মকর্তা নেই। এছাড়া আদেশে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতির নামের বানানও ভুল লেখা হয়েছে।

জাল আদেশে বলা হয়েছে, হানিফ সুপার প্রাইভেট লিমিটেড যেন ‘হানিফ’ ট্রেডমার্ক ব্যবহার করতে না পারে সেই বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো। গত ১৬ অক্টোবর হানিফ পরিবহন সার্ভিস লিমিটেডের করা আবেদনটি ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে জাল আদেশে।

জাল আদেশের একটি ফটোকপি ওই বেঞ্চে দায়িত্ব পালনকারী আইন কর্মকর্তা (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল) শেখ সাইফুজ্জামানের কাছে আসে। এরপরই তিনি তা বেঞ্চের নজরে আনেন।  
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের হাইকোর্টের এই বেঞ্চের মোশন পাওয়ার ছিল না। শুধু রুল শুনানির এখতিয়ার আছে। এ ধরনের আদেশ দিতে হলে মোশন শুনানির এখতিয়ার থাকতে হয়।

তিনি আরও বলেন, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কোনো চক্র এই আদেশটি তৈরি করেছে। এ ধরনের জালিয়াতি বন্ধে হাইকোর্টের নকল শাখার কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী জড়িত কি না তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২২
ইএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।