যেকোনো উৎসবে ভুরিভোজের পরও ভোজনরসিক বাঙালির পেটে মিষ্টি খাওয়ার জায়গা খানিকটা থেকেই যায়। আর সাধারণত স্পেশাল দিনে রসগোল্লা খেয়ে তবেই মধুরেণ সমাপয়েৎ।
যা যা লাগবে:
দুই লিটার দুধ, ফ্রেশ ক্রিম দুই কাপ, টকদই দুই কাপ, চিনি দুই কাপ, ময়দা দুই চামচ, বেকিং পাউডার চার চামচ, গুড়া দুধ তিন চামচ, কেশর এক চিমটি, এলাচ গুড়া দুই চামচ, পেস্তাবাদাম কুচি পরিমাণমতো।
তুলতুলে রসমালাই বানাবেন যেভাবে:
প্রথমে একটি হাঁড়িতে এক লিটার দুধ ও ফেশ ক্রিম নিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে হালকা ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। তারপর দুধের মধ্যে টকদই দিয়ে ছানা কাটিয়ে নিতে হবে। এবারে একটি কাপড়ের মধ্যে ছানা ছেঁকে নিয়ে পুটলি বেঁধে এক ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখতে হবে। এতে ছানার পানি ঝরে যাবে। এরপরে একটি থালায় ছানা রেখে ভালো করে মেখে নিতে হবে সাত মিনিট। ছানার মধ্যে দুই চামচ ময়দা, বেকিং পাউডার ও এক চামচ চিনি দিয়ে আবারও তিন মিনিট ধরে ভালো করে মেখে নিতে হবে। এবারে ছানা থেকে ছোট ছোট বলের আকারে লেচি কেটে গোল করে নেবো। এরপরে একটি হাঁড়িতে দেড় কাপ চিনি ও তিন কাপ পানি দিয়ে চিনির সিরা করে নিতে হবে। সিরা ফুটতে থাকলে আঁচ কমিয়ে নিয়ে ছানার বলগুলো ছেড়ে দিতে হবে। ১২ মিনিট চিনির সিরাতে বলগুলো ঢাকা দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। এতে রসগোল্লাগুলো ফুলে উঠবে ও রস মিষ্টির মধ্যে ঢুকে যাবে। এবার রসগোল্লাগুলো ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
রসগোল্লা ঠাণ্ডা হলে একটি ছাঁকনির মধ্যে তুলে রাখবো যাতে অতিরিক্ত চিনির সিরা ঝরে যায়। তারপরে কড়াইতে এক লিটার দুধ বেশ ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে তার মধ্যে কেশর ও এলাচ গুড়া দিতে হবে। একটি বাটিতে এক কাপ ফুটন্ত দুধ তুলে নিয়ে তার মধ্যে তিন চামচ গুড়া দুধ ভালো করে মেশাতে হবে। এবারে দুধ ভালো করে ফুটিয়ে ঘন করুন। আর গুড়া দুধের মিশ্রণটি ফুটন্ত দুধের সঙ্গে মেশাবো। দুধ ভালো মতো ঘন হলে হাফ কাপ চিনি মেশাতে হবে। এবারে রসগোল্লাগুলো দুধের মধ্যে দিয়ে পাঁচ মিনিট আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে রান্না করবো। এবার আঁচ বন্ধ করে রসমালাই ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। এখন পুরোপুরি তৈরি রসমালাই। এবারে পরিবেশন করতে পারেন পেস্তাবাদাম ছড়িয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৪
এএটি