ছেলে-মেয়েরা যখন নতুন বিবাহিত জীবন শুরু করে সবার পক্ষে এতো আয়োজন করার মতো সামর্থ্য থাকে না। তবে সামাজিকতা রক্ষায় অনেক সময়ই দেখা যায়, ঋণ করে সবই করার চেষ্টা করে।
বিয়ের খরচে লাগাম কীভাবে টানবেন?
কতদিন পরে বিয়ে করবেন, আনুমানিক কত খরচ হতে পারে বিয়েতে— সেই বিষয়গুলো মাথায় রেখে টাকা জমানো শুরু করে দিন।
অবশ্যই যাকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন তার এবং দুই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও পরামর্শ করে নিন এই বিষয়ে। তাদের জানান আপনি কি পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে পারবেন।
গেস্ট লিস্ট করার সময়ও লক্ষ্য রাখুন, যাদের না বললেই নয় তাদের বলুন।
কার্ড না করে ফোন, এসএমএস বা মেইল-এ নিমন্ত্রণ করতে পারেন। কারণ কার্ড করলে সব জায়গায় গিয়ে গিয়ে কার্ড পৌঁছে দিতে হবে। এতে যেমন প্রচুর সময়, লোক দরকার, তেমনি খরচও বাড়বে। খুব প্রয়োজন হলেই সেখানে গিয়ে দাওয়াত করুন।
বিয়ের গয়নায় খুব বড় একটা বাজেট রাখতে হয়। তবে পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কিছু গোল্ড প্লেটের সিলভার গয়না কিনে নিলে দেখতেও অনেক সুন্দর লাগে, খরচটাও কমে যায়।
নিমন্ত্রিতদের সংখ্যা মাথায় রেখে সুচিন্তিতভাবে খাবারের আয়োজন করুন, খাবারের অপচয় আর খরচা— দুটোই কমবে।
ফটোগ্রাফার, ডিজে— এ সবের কি খুব প্রয়োজন রয়েছে? তাহলে আর ফটোগ্রাফারের পেছনে একগাদা টাকা খরচের দরকার কী? মোবাইল বা নিজের ডিজিটাল ক্যামেরাতেই ধরে রাখুন বিয়ের স্মরণীয় মুহূর্তগুলি।
প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে ভালো থাকাটাই জরুরি, লোক দেখানো খরচ করে সামনের সময়গুলোতে চাপ নিয়ে কী দরকার!