প্রাইমার দিয়ে শুরু করা যাক
ভালো সেলফির জন্য প্রথম প্রয়োজন মসৃণ ত্বক। মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে অন্য কিছু করার আগেই প্রাইমার লেয়ারের ব্যবহার বুদ্ধিমানের কাজ।
হাইলাইট
মুখের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো যেমন- নাক, কপাল, চোখ ও গালের মধ্যবর্তী অংশ ও থুতনিতে হাইলাইট করলে ছবিতে নিজেকে অনেক তরুণ ও উজ্জ্বল দেখায়। মূলত হাইলাইট হচ্ছে স্মার্টফোনের একটি ফিচার, কিন্তু ত্বক উজ্জ্বল করতে রিয়েল লাইফেও এর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সারাদিন ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল রেখে যখন-তখন সেলফি তোলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ক্রিমি হাইলাইটার স্টিকের ব্যবহার করা।
হলুদাভ আবরণ-টিন্টেড পাউডার
হ্যাঁ ঠিক- যখন আপনি জানবেন যে, এখন আপনি সেলফি তুলবেন, তখন মুখের ত্বকে ফাউন্ডেশন লেয়ারের ওপর হলুদাভ বর্ণের টিন্টেড পাউডার ব্যবহার করুন। মুখে টিন্টেড পাউডারের প্রলেপ দিলেই ছবি হয়ে ওঠে উজ্জ্বল। স্মার্টফোনে এটি প্রিলোডেড গোল্ডেন টোনফিচার হিসেবে যুক্ত থাকে।
চোখের চারপাশ
প্রতিটি ছবির জন্য ফ্রেমিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আর চোখের চারপাশে ফ্রেমিং করতে পারলে বেশ সুন্দর সেলফি তোলা সম্ভব। আপার ও লোয়ার ল্যাশলাইনের সঙ্গে কালো রংয়ের আইলাইনার আঁকতে পারলে, সেলফি কিন্তু চমৎকার হয়।
ভ্রু-তেও একটু ছোঁয়া
জানেন কি, যত সুন্দর করে ভ্রু আঁকা যায় সেলফিতে নিজেকে ততটাই সুন্দর দেখানো সম্ভব! ভ্রু-এর কোনো অংশ যদি হালকা থাকে তবে দিয়ে সেখানে মুখের ধরণ অনুযায়ী আই ভ্রু পেনসিল দিয়ে এঁকে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায়। পেনসিল দিয়ে ছোট রেখা এঁকে ভ্রু-এর হালকা অংশ ভরাট করা যেতে পারে।
লিপস্টিক
সবশেষে কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মেকআপ আইটেম হচ্ছে লিপস্টিক। সুন্দর সেলফি তুলতে ঠোঁটের রংয়ের লিপস্টিক নিয়ে কাজ করতে হবে। ঠোঁটের রংয়ের চেয়ে একটু গাঢ় টোনের লিপস্টিক ব্যবহার করুন। এতে সেলফিতে দিপ্তীময় হাসি নিয়ে আসতে পারে। ঠোঁটের মেকআপে লিপব্রাশ ব্যবহার করুন।
সঠিক মেকআপে নিজেকে আরও সুন্দর আর আকর্ষণীয় করে তুলুন। পছন্দের সেলফি দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে থাকুন।