পোশাক: খারাপ আবহাওয়া মানুষের মনেও বিরূপতা তৈরি করে। তাই এ সময় এমন পোশাক পরা উচিত যা মন ভালো রাখতে সাহায্য করে।
এ সময় অবশ্যই এমন সুতার কাপড় পরবেন, যা খুব সহজেই শুকিয়ে যায়। এক্ষেত্রে সুতির চেয়ে সিল্ক বা জর্জেট ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার পোশাকের ধাঁচটা এমন হবে, যাতে করে বৃষ্টিতেও স্বচ্ছন্দে চলাচল করা যায়।
আর পোশাক যা-ই হোক না কেন, তা যেন আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই হয়।
ছাতা: বর্ষায় জনজীবনের অপরিহার্য অংশ হচ্ছে ছাতা। এখন নিউমার্কেটসহ অনেক দোকানে কম দামে খুব সুন্দর এবং রঙিন ছাতা পাওয়া যায়। সেই একঘেয়ে কালো ছাতার বদলে এই বর্ষায় অন্তত একজোড়া রঙিন ছাতা কিনে ফেলুন।
বাচ্চাদের দিন উজ্জ্বল রঙের বাহারি ছাতা। তবে তা হতে হবে একটু ছোট, একজনের জন্য এবং সহজে বহনযোগ্য।
রেইনকোট: যারা রেইনকোট পরতে অভ্যস্ত তারা উজ্জ্বল রঙের রেইনকোট পরুন। রেইনকোট পরার অভ্যাস থাকলে যেকোনো পোশাকই পরতে পারবেন স্বচ্ছন্দে, পোশাকও নষ্ট হবার ভয়ও থাকবে না।
বাচ্চাদের জন্য বাহারি রেইনকোট কিনুন। এখন বিভিন্ন রঙের কার্টুন আঁকা রেইনকোটও পাওয়া যায়।
স্যান্ডেল বা জুতা: জুতা বা স্যান্ডেল ব্যবহারের প্রতি যত্নবান হন। অবশ্য বর্ষায় প্রায় সবাই এ বিষয়টি মাথায় রাখেন। রাবারের স্যান্ডেল পরতে পারেন। বাজারে এখন আধুনিক ডিজাইনের বিভিন্ন রঙের রাবারের স্যান্ডেল পাওয়া যায়।
বাচ্চাদের জন্য রাবারের জুতা খুবই মানানসই । তাদের বিভিন্ন রঙের রেইনবুট কিনে দেওয়া যায়।
বড়রা অবশ্য প্রোটেকট্যান্ট ট্রিটেড চামড়ার জুতা পরতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে এমন স্যান্ডেল বা জুতা পরা যাবে না, যা ভারসাম্য ঠিক রাখতে পারে না অথবা পিছলে যায়।
ব্যাগ: বৃষ্টির সময় প্লাস্টিকের একটু বড় ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। ছাতা বা রেইনকোট বহনের জন্য বড় ব্যাগ প্রয়োজন। এ সময় কাপড় বা চামড়ার ব্যাগ আলমারিতে তুলে রাখুন। এখন প্লাস্টিকের সুন্দর সুন্দর ব্যাগ পাওয়া যায়, যা আপনার বেশভূষাকে আরো আকর্ষণীয় করবে।
এ সময় বাচ্চাদের দিন ওয়াটার প্রুফ স্কুল ব্যাগ।