ভিটামিন গ্রহণ করুন
জিঙ্ক ও ভিটামিন ‘সি’ উভয়ই ইমিউন সিস্টেমকে বাড়িয়ে তুলতে অনেক প্রয়োজনীয়। গোটা খাদ্যশষ্য ও দুধে জিঙ্ক পাওয়া যায়।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
যখনই পারেন ঘুমিয়ে নিন। বিশেষ করে রাতে বেশিক্ষণ জেগে না থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুতে যান। যথেষ্ট ঘুম ও বিশ্রাম ইমিউন সিস্টেমকে পুনরায় সচল করে তোলে।
ব্যায়াম বন্ধ রাখুন
ব্যায়াম সুস্থ থাকার চাবিকাঠি। কিন্তু অসুস্থ অবস্থায় কিছুদিনের জন্য ব্যায়ামে বিরতি রাখা ভালো। সুস্থবোধ না করা পর্যন্ত স্বাভাবিক হাঁটাচলার চেয়ে বেশি ব্যায়াম করা উচিত নয়।
চাপমুক্ত থাকুন
মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে শারীরিক স্বাস্থ্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অতিরিক্ত মানসিক চাপ ইমিউন সিস্টেমকে ধীরগতি করে দেয়। ফলে শরীরের উপর এর প্রভাব পড়ে।
প্রচুর পানি পান করুন
স্বাস্থ্যকর থাকা মানেই হলো হাইড্রেটেড থাকা। আপনি যখন অসুস্থ থাকেন তখন আপনার শরীরে H2O এর ঘাটতি হতে শুরু করে। ইমিউন সিস্টেম এর কার্যকারিতা বাড়াতে পানি বিশেষভাবে কাজ করে।
খাবার খাওয়া চালিয়ে যান
ক্ষুধা না লাগলে কিংবা খেতে ইচ্ছা না করলেও খাবার গ্রহণ করা কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না। কেননা অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে শরীরকে ক্যালরি খরচ করতে হয়। আপনি খাওয়া বন্ধ করে দিলে শরীরে ক্যালরির ঘাটতি দেখা দেবে।
কাজ ছেড়ে বাসায় থাকুন
আপনি অসুস্থ হলে বিশেষজ্ঞরা প্রায়ই বাসায় বিশ্রাম নিতে বলেন। এটি শুধু আপনার জন্য ভালো তা নয় বরং আপনার সহকর্মীরাও আপনার দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে। অফিসের স্পেসগুলোতে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকে।
ঠাণ্ডা তাপমাত্রা থেকে দূরে থাকুন
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের প্রকোপ ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় বেশি থাকে। তাই অফিসে এসির ঠাণ্ডা বাতাস আপনার ভালোর চেয়ে ক্ষতিই বেশি করবে। আপনার পক্ষে যদি ছুটি নেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে চেষ্টা করে দেখুন বাসায় থেকে কাজ করা যায় কিনা। অথবা এমন কাপড় পড়ে অফিসে যান যাতে ঠাণ্ডা আপনাকে ছুঁতে না পারে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন
এর মানে হলো সাবান ও গরম পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধুয়ে ফেলুন। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ব্যবহার করতে পারেন। আর খেয়াল রাখুন আপনি হাত দিয়ে কখন কি স্পর্শ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৭
এমএসএ/আরএ