ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

আজও ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করছে মৃগনয়নীর চান্দেরি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৭ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৮
আজও ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করছে মৃগনয়নীর চান্দেরি মৃগনয়নীর চান্দেরি শাড়ি কালেকশন

কলকাতা: বাঙালি নারীর ঐতিহ্যের অন্যতম আভূষণ শাড়ি। প্রতিটি বিশেষ ধরনের শাড়ি এক একটি অঞ্চলকে রিপ্রেজেন্ট করে। আর তার সঙ্গে মিশে থাকে ইতিহাস। যেমন ঢাকার জামদানি, মাইসোরের শিল্ক, কাঞ্জিবরন বা মধ্যপ্রদেশের চান্দেরি।

যেসব শাড়ি আছে সাধারণত আমরা ব্যবহারের সময় ইতিহাস নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায় না। তবে তা জানা থাকলে বোধহয় সেই বিশেষ ধরনের শাড়ি শুধু শরীর নয় সঙ্গে মনকেও সুন্দর করে তোলে।

আজ আমরা জানাব দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ার দক্ষিণাপণ মার্কেটের মধ্যপ্রদেশ সরকারের এম্পোরিয়াম মৃগনয়নী’র অন্যতম কালেকশন চান্দেরি শাড়ির কথা।  

**নারীর সৌন্দর্যে অনন্য ‘মৃগনয়নী’র শাড়ি

সেখানে মধ্যপ্রদেশের বিপুল শাড়ির সম্ভারের মধ্যে আছে এক এবং অদ্বিতীয় চান্দেরি শাড়ি। ভারতে ঐতিহ্যমণ্ডিত শাড়ি বলতে যে শাড়িগুলির কথা প্রথম সারিতে আসে তার মধ্যে অন্যতম চান্দেরি। কলকাতা থেকে শাড়ি কেনার অভিজ্ঞতা যাদের আছে তাদের সমস্ত অভিজ্ঞতাকে ভুলিয়ে দিতে পারে ঐতিহ্য, বৈশিষ্ট্যে এবং নতুনত্বে মৃগনয়নীর শাড়ির কালেকশন। চান্দেরি শাড়ির ইতিহাসের সন্ধান দিলেন ম্যানেজার কে.কে. চ্যাটার্জী।  

কে.কে. চ্যাটার্জীতিনি জানান, বর্তমানে চান্দেরি অঞ্চলটি মধ্যপ্রদেশের অশোকনগর জেলায় অবস্থিত। নৃতাত্ত্বিকভাবে পর্যালোচনা করতে গেলে সাংস্কৃতিকভাবে মধ্যপ্রদেশকে দু’টি ভাগ করা যায়। একটি মল্য অন্যটি বুন্দেলখণ্ড। চান্দেরি শাড়ির শিল্প এই দুই অঞ্চলের সীমারেখার উপর গড়ে উঠেছে। সেখানকার তাঁতিরা যে শাড়িটা বোনেন সেটাই চান্দেরি শাড়ি নামে পরিচিত।  

মাইথোলজি বলছে, শ্রীকৃষ্ণের আত্মীয় শিশুপাল এই শাড়ির প্রবর্তন করেন।  ইতিহাস বলছে, চান্দেরির বুনন শুরু হয় দ্বিতীয় থেকে সপ্তম শতাব্দীর মধ্যে। মুঘল আমলে সম্রাজ্ঞীদের অন্যতম পছন্দের শাড়ি ছিল চান্দেরি। ১৩৫০ খ্রিস্টাব্দে তন্তুবায় গোষ্ঠীর মানুষরা রাজনৈতিক সমস্যার কারণে ঝাঁসি থেকে চান্দেরি চলে আসেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। মৃগনয়নীর চান্দেরি শাড়ি কালেকশনপরবর্তীতে তাদের বোনা কাপড়ই মুঘল সাম্রাজ্ঞীদের প্রিয় পোশাকে পরিণত হয়।  আবার রাজপুত নারীদেরও প্রিয় শাড়ি ছিল এই চান্দেরি। রাজপুত রাজারা যুদ্ধে যাওযার সময় তাদের রানিরা চান্দেরি শাড়ি তাদের বরণ করতেন। অন্যদিকে মুঘল সম্রাটরা যুদ্ধে জিতে রাজ্যে ফিরলে তাদের সাম্রাজ্ঞীদের গহনার সঙ্গে কয়েকটি চান্দেরি শাড়ি নিজ হাতে করে তুলে দিতেন। সময়ের চাকায় আবর্তিত হতে হতে সেই চান্দেরি শাড়ি হয়ে উঠেছে আরও আধুনিক, আরও আকর্ষণীয়।

রাজপাঠ গেছে, তবু রাজমহিষীদের সেই পছন্দ দিয়েই সেজে উঠেছে ‘মৃগনয়নী’। সূক্ষ তন্তুর বুনন কৌশলে এই শাড়ি মোলায়েম এবং উজ্জ্বল। ভারতে বোনা হয় এমন কোনো শাড়ির সঙ্গে চান্দেরির মিল নেই। বাজারে যত চান্দেরি বোনা হয় তা সবই মধ্যপ্রদেশ সরকার নিয়ে নেয়। আর তারা বিক্রি করে তাদের সরকারি এম্পোরিয়ামের মধ্য দিয়ে। যেমন- কলকাতায় আসল শাড়িগুলি বিক্রি হয় একমাত্র দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ার দক্ষিণাপণ মার্কেটের মধ্যপ্রদেশ সরকারের এম্পোরিয়াম মৃগনয়নীতে। ঈদ উপলক্ষে যেকোনো কেনাকাটায় আছে ২০ শতাংশ ছাড়। এছাড়া বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় ছাড়। -ঠিকানা: মৃগনয়নী, মধ্যপ্রদেশ সরকার এম্পোরিয়াম ২, গড়িয়াহাট রোড (এস), দক্ষিণাপণ, কলকাতা - ৭০০০৬৮ 

বিস্তারিত জানতে কল করুন- +91-9874 743568 ও 033-2423 7512 / 6715
ই-মেইল: [email protected]
ওয়েবসাইট: www.mrignayanikolkata.com 
ফেসবুক পেজ: Mrignayani Kolkata

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, ১৮  জুন, ২০১৮
ভিএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।