যে কারণে দূরত্ব তৈরি হয় মধুর সম্পর্কেও:
দায়িত্ব না নেওয়া
একটি কথা উভয়েরই মনে রাখা উচিত, একতরফা আর যাই হোক সম্পর্ক হয় না। আমরা প্রায়ই ভুল করি, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা ও ভাঙনের সমস্ত দায়িত্ব ও সম্ভাবনা একটি পক্ষের ওপর ছেড়ে দিই।
সঙ্গীর সুযোগ-সুবিধার কথা না ভাবা
আপনি কর্মজীবী, আপনার সঙ্গীও তাই। যদি আপনি তাকে চাপে রাখেন, তার স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাধার কারণ হন, তাহলে একটা সময় পর আপনার সহজ বিষয়গুলোকেও আপনার সঙ্গীর কাছে কঠিন ঠেকবে। তৈরি হবে তুলনাবোধ। তার মনে হবে- তিনি আপনাকে ছাড় দিচ্ছেন, তবে আপনি কেন নন?
মানসিক ও আর্থিক প্রতারণা
সঙ্গী হয়ত মানসিকভাবে আপনার ওপর খুবই নির্ভরশীল। আর সে সুযোগে আপনি তাকে যখন তখন ব্যবহার করছেন। আবার টাকা নিয়েও অনেক সময় প্রিয় মানুষটিই প্রতারণা করে বসে। কোনোভাবেই এ ধরনের প্রতারণা কেউ মেনে নেবে না। ফলাফল সম্পর্কে ইতি টানা।
যোগাযোগ না রাখা
ব্যস্ততার অজুহাতে সঙ্গীর কোনো খোঁজ না নেওয়া। দিনের পর দিন শুধু একজনই খোঁজখবর নেন, অন্যজন অবহেলা করেন। সেই সম্পর্কে দূরত্ব আসাই তো স্বাভাবিক।
ভালোবাসার প্রকাশ
ভালোবাসার প্রকাশ না থাকলেও ক্ষতি হয় সম্পর্কের।
আসক্তি
ধূমপান, অ্যালকোহল, মদ, খাদ্য, ফোনে আসক্তির বিষয়ে সঙ্গী জানতে পারলে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
তৃতীয় কাউকে টেনে আনা
নিজেদের বিষয়ে অন্য কারো কাছে অভিযোগ করলে সঙ্গীর আত্মমর্যাদায় লাগতে পারে। আর এটা বারবার করলে তাকে পছন্দ করার তো কারণ থাকে না।
একটি সম্পর্ক ভালো রাখার দায়িত্ব দুজনেরই। সম্পর্কে মান-অভিমান থাকবে, তবে সেটা যেন তিক্ততায় না যায়, এজন্য দুজনকেই সচেতন থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
এসআইএস