ঈদের দিনগুলোতে প্রতি বছর প্রতিটি এলাকায় যেন মিলন-মেলা বসে। প্রতিটি টুরিস্ট স্পটে থাকে উপচে পড়া ভিড়।
অনেকেই চান ঈদের ছুটিতে সাগর-পাহাড় বা কাছাকাছি কোনো রিসোর্টে নিজেদের মতো সময় কাটাতে। পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে হুল্লোর করা তো খুব কমন ঈদের সময়। তবে সময়টা করোনার, করোনায় আক্রান্তের শঙ্কায় রয়েছে বিশ্বের প্রায় সব মানুষ। মনে রাখবেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ছুঁলে, তার হাঁচি বা কাশিতেই ছড়িয়ে পড়ে মহামারি করোনা। প্রতিদিন আমাদের দেশেও আক্রান্ত হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষ। আর এই ঈদুল আজহার সময়ে কোথাও গেলে শুধু নিজের জন্যই নয় প্রিয়জনের জন্যও ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
এই সময়ে অন্য ঈদের ছুটি যেভাবে কাটাতেন, সেভাবে সবাই মিলে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা থেকে বিরত থাকুন। ঈদের এই ছুটিতে সবাইকে বাইরে বের হতে নিরুৎসাহিত করুন।
মনে রাখতে হবে, করোনা ভাইরাস বাতাসে কয়েক ঘণ্টা সক্রিয় থাকে। অনেক পরেও ওই ভাইরাস শরীরে সংক্রামিত হতে পারে। তাই খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না গিয়ে বাড়িতে থাকুন। বেশি লোকের জমায়েত থেকে দূরে থাকুন। ঘরে থাকলেও বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করান।
এবারের ঈদটিও চেষ্টা করুন একেবারেই ঘরোয়াভাবে পালন করতে। কারো বাড়িতে না গিয়ে এবং কাউকে না ডেকে অনলাইনে আর ফোনে সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করুন।
এদিকে দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলো অতিথিদের জন্য সব আয়োজন করে তৈরি আছে। করোনার গ্রাস থেকে মুক্ত হয়ে আবার কবে জমবে মিলন মেলা, সেই অপেক্ষায়। কক্সবাজারে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে থাকা মারমেইড বিচ ও ইকো রিসোর্টের জেনারেল ম্যানেজার মাহফুজুর রহমান বলেন, সারা বছরই অতিথিদের আনন্দে মূখর থাকে মারমেইডের পুরো এলাকা। কিন্তু করোনা শুরু হওয়ার পর সেই চেনা দৃশ্য পাল্টে গেছে। মাসের পর মাস কোনো অতিথি নেই কক্সবাজারের কোথাও। সবার মতো আমরাও আশা করি খুব দ্রুত করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। আর আগের মতোই অতিথিরা এসে আনন্দে সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়ে জীবনের সেরা স্মৃতি নিয়ে সবাই ফিরে যাবেন।
রিসোর্ট বন্ধ থাকলেও সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েই অতিথিদের জন্য প্রতিটি হোটেল অপেক্ষায় বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২০
এসআইএস
