ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বায়তুল মোকাররম মুসল্লি কমিটির আয়োজনে ওমরাহ যাত্রায় প্রথম কাফেলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২২
বায়তুল মোকাররম মুসল্লি কমিটির আয়োজনে ওমরাহ যাত্রায় প্রথম কাফেলা কাফেলার মুসল্লিদের সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীর

ঢাকা: পবিত্র ভূমি সৌদি আরবের মক্কা-মদিনায় ওমরাহ হজ পালনে যাচ্ছেন সামর্থ্যহীন ১০৪ জন মুসল্লি। আর নিজস্ব অর্থায়নে তাদের এই সুযোগ করে দিচ্ছেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা, বাজুস সভাপতি ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর।

সৌদি আরবের উদ্দেশে ওমরাহ হজের প্রথম কাফেলা রওনা হচ্ছে রোববার (৪ ডিসেম্বর)। এ উপলক্ষে দুপুরে প্রথম কাফেলার ২৬ জন সদস্যকে নিয়ে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির অফিসে অনুষ্ঠিত হয় দোয়া মাহফিল।

অনুষ্ঠানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি গুলজার আহম্মেদ বলেন, গত রমজানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীর ১০০ জন সামর্থ্যহীন ব্যক্তিকে ওমরাহ হজ করানোর ইচ্ছা পোষণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ প্রথম ২৬ জন ওমরাহ হজের উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা করছেন।

তিনি বলেন, এই ডিসেম্বরে আরও দুটি গ্রুপ যাবে এবং জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই সকলকে পাঠানো হবে ওমরাহ হজের জন্য। প্রথমে ১০০ জনের কথা থাকলেও মোট ১০৪ জন ওমরাহ হজে যাচ্ছেন। তারা সেখানে ১৪ দিন অবস্থান করবেন, ওমরাহ পালন করবেন এবং বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখবেন।

এই ২৬ জন ওমরাহ হজযাত্রী রোববার রাত ১১টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হবেন।


প্রথম কাফেলার ২৬ জন সদস্যকে নিয়ে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির দোয়া মাহফিল | ছবি: ডিএইচ বাদল

দোয়া আয়োজনে ওমরাহ যাত্রা উপলক্ষে সকল ওমরাহ যাত্রীকে একটি করে নতুন পাঞ্জাবি ও শুকনা খাবার সৌজন্য উপহার দেওয়া হয়। পরে তারা বিকেলে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা, বাজুস সভাপতি ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। ওমরাহ পালনকালে এই ২৬ জনের যাবতীয় ব্যয় বহন করা হবে সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষ থেকে।

বাংলানিউজের কথা হয় ওমরাহ যাত্রী শাহজাহান মাঝির সঙ্গে। পেশায় ভ্যানচালক এই ব্যক্তি বলেন, আমি বায়তুল মোকাররম এলাকাতেই ভ্যানগাড়ি চালাই আর এখানেই এবাদত বন্দেগি করি। পরে এখানকার মুসল্লিরা আমাকে ওমরাহ করার ব্যাপারে জানান। আজ ওমরাহ করতে যাচ্ছি। জীবনে কতবার প্রার্থনা করেছি নবীর দেশে যাওয়ার জন্য, কিন্তু ভাবিনি তা কখনো পূরণ হবে। আজ আল্লাহর রহমতে আর বসুন্ধরা গ্রুপের কারণে তা সম্ভব হলো। এই আনন্দ বলে বোঝানোর মতো না। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি, যারা এই আয়োজন করলেন, যিনি আমাকে ওমরাহ করতে পাঠালেন তারা সকলে যেন ভালো থাকেন।

মুসল্লি কমিটির সভাপতি হাজী মো. ইয়াকুব আলী বলেন, অনেক যাচাই-বাছাই করে তবেই আমরা এই কার্যক্রমে ১০৪ জন নির্বাচন করেছি ওমরাহ করানোর জন্য। যারা সামর্থ্যহীন এবং আমাদের এখানে (বায়তুল মোকাররমে) নিয়মিত এবাদত-বন্দেদি করেন, আমরা তাদেরই প্রাধান্য দিতে চেষ্টা করেছি।

আয়োজনের শেষ অংশে সকল ওমরাহ যাত্রী, এই কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত সকলে, বসুন্ধরা গ্রুপ, সায়েম সোবহান আনভীর ও তার পরিবারসহ দেশ ও দশের মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মহিউদ্দিন কাশেম।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মুসল্লি কমিটির সভাপতি হাজী মো. ইয়াকুব আলী, সহ-সভাপতি গুলজার আহম্মেদ, এনামুল হক খান (দোলন), সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক, যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহ আলম (মিন্টু), মো. সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন গাজী, যুব ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. জালাল সরকার, দপ্তর সম্পাদক আজাদ আহমেদসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২২
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।