ঢাকা: শিক্ষক নিয়োগে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে ১৬তম এনটিআরসিএ নিবন্ধিত মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক চাকরি প্রতাশীরা অনশনে বসেছেন।
সোমবার সকালে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকার প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনে '৪র্থ গণবিজ্ঞতি প্রত্যাশী ফোরাম'র ব্যানারে তারা গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে এ অনশন শুরু করেন।
অনশনে অংশ নেওয়া শত শত এনটিারসিএ নিবন্ধিতদের দাবি, ২০১৮ সালে এনটিআরসির ১৬তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনে চূড়ান্ত উত্তীর্ণ হওয়ার চার বছর অতিক্রম করলেও হাজার হাজার চাকরি প্রত্যাশীরা আজও চাকরি পায়নি। এরই মধ্যে অনেকের শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে প্রবেশের বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই এনটিআরসি চেয়ারম্যানের কাছে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আহ্বান জানান। নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগ পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও স্লোগান দিচ্ছেন।
৪র্থ গণবিজ্ঞতি প্রত্যাশী ফোরামের আহ্বায়ক এম এ আলম বাংলানিউজকে বলেন, নিয়োগ প্রত্যাশী হাজারো নিবন্ধনধারী দীর্ঘদিন ধরে গণবিজ্ঞপ্তির জন্য অপেক্ষা করছে। ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি দ্রুত প্রকাশ করার জন্য মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএ’র দ্বারে দ্বারে অসহায়ের মতো বারবার ঘুরতেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ পর্যন্ত সে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলো না। যা চাকরি প্রত্যাশীদের গভীর দুশ্চিন্তা ও অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়েছে।
আলম আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় শিক্ষকদের চাকরি জন্য দাঁড়াতে হবে তা ভাবা যায় না। আমরা গত ১০ নভেম্বর প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছি। অনশনে এনটিআরসির সচিব ওবায়দুর আমাদেরকে আশ্বস্ত করেন নভেম্বরেই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবেন। যা ফলাও করে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও মিডিয়াতেও এসেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় কয়েকবারের মতো গত ১০ তারিখের প্রতিশ্রুতিও এনটিআরসিএ রাখতে পারেনি।
তিরি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় উচ্চ শিক্ষিত বেকার শিক্ষকদের নিয়ে টালবাহানা মেনে নেবার মতো নয়। আমার যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত সমাধান চাই। বেকারদের নিদারুন কষ্ট ও দুঃখ দেখার কেউ কী নেই? এনটিআরসিএ এর কাছে জবাব চাই। নিবন্ধন পাস করা কী তাহলে আমাদের অপরাধ? আজকে এসব প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে। আর কোন প্রতিশ্রুতি নয়, দ্রুত বিজ্ঞপ্তি চাই।
অনশনে অংশ নিয়ে ১৬ তম নিবন্ধন উত্তীর্ণ ইমরান খান বলেন, আর কোনো প্রতিশ্রুতিতে আমরা পিছপা হবো না। আগে দেওয়া কয়েকবারের প্রতিশ্রুতিও বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে এনটিআরসিএ। এবার আর কোনো সুযোগ নয় '৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি' প্রকাশ চাই অথবা প্রকাশের সুনির্দিষ্ট তারিখ চাই। উচ্চ শিক্ষিত এসব তরুণ বেকার শিক্ষকরা আর ঘরে বসে থাকবে না। অধিকার আদায়ে সোচ্চার হয়ে মাঠে যেহেতু নেমেছি, যৌক্তিক দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরবো। গণবিজ্ঞপ্তির প্রকাশ বা সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আজকের এ কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২২
এসআর/জেএইচ