ঢাকা: বিএনপি যদি সমাবেশ করতে চায় তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা কোনো খোলা মাঠে করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি বলেন, জননিরাপত্তা ও জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে নয়াপল্টন পার্টি অফিসের সামনে বিএনপিকে গণসামাবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে কোনো রাস্তায় জনসভা বা সমাবেশ করা যাবে না। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করলে তাদের সার্বিক নিরাপত্তা দেবে ডিএমপি। কিন্তু অনুমতি ছাড়া যদি কোথাও বিএনপি সমাবেশ করে বা করতে যায় তবে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পল্টনে তাদের সামনে ১০ লাখ লোকের জায়গা হবে না। সর্বোচ্চ এক লাখ লোক পল্টনে দাঁড়াতে পারবে। বাকি নয় লাখ লোক ঢাকা শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ছড়িয়ে পড়বে। যার ওপর বিএনপির কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। পুলিশের নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। এতে জনদুর্ভোগ ও জননিরাপত্তা জন্য তাদের পল্টনে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা গোয়েন্দা সংস্থা এবং মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি বিএনপি ঢাকা শহরে ১০ লাখ লোক জমাতের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। কাজেই পার্টি অফিসের সামনে জনদুর্ভোগ করে এবং ঢাকার আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন করে তাদের সেখানে অনুমতি দেওয়া যাবে না। আপনারা যেকোন খোলা মাঠে যেতে পারেন বা অন্য কোনো প্রস্তাব দিতে পারেন। অন্য প্রস্তাব হিসেবে তাদের বলা হয় টঙ্গীতে ইজতেমার মাঠ আছে, সেখানে আপনার ১০ লাখ লোক জমায়াত করতে পারবেন। পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলার মাঠ আছে, সেখানে যেতে পারেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, দুটি কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম কারণ, পল্টনে এতো লোকের জায়গা হবে না। যদি তারপরেও তারা সেখানে সমাবেশ করে তবে বাকি নয় লাখ লোক ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাবে। এর ওপর বিএনপির কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না এবং পুলিশেরও কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। একই সঙ্গে ১০ লাখ লোক ঢাকার সব রাস্তা দখল করলে ঢাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ হবে।
সার্বিক দিক বিবেচনা করে তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দেওয়া হয়। পরে মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে আগ্রহী না। তারা পল্টন বা তার আশেপাশে কোনো রাস্তায় করতে আগ্রহী। এ প্রসঙ্গে আমাদের ডিএমপির সুস্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বা এর মতো কোনো খোলা মাঠে সমাবেশ করতে হবে। আমরা জনদুর্ভোগ এবং জননিরাপত্তা বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২২
এসজেএ/আরআইএস