ঢাকা: পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াতকে সন্ত্রাসবিরোধী নানা অভিযানে দেখা যায়। তবে এবারই প্রথমবার কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি বাহিনীটির উপস্থিতি দেখা গেল।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেখানে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি ছিল। পাশাপাশি তৎপরতা ছিল ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সোয়াত টিমের।
সিটিটিসি বলছে, বিএনপি কার্যালয়ের ভেতর বিস্ফোরকের খবর পেয়ে বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে পাঠানো হয়। সাধারণত এই ইউনিটের প্রোটেকশন হিসেবে সোয়াত টিমকে মুভ করানো হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, বিএনপি কার্যালয় থেকে বেশকিছু বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল বিএনপি কার্যালয়ে নাশকতার সামগ্রী ও এক্সপ্লোসিভ মজুদ করা হয়েছে। বিস্ফোরকের খবর পেয়ে আমরা সেখানে বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে পাঠাই।
তিনি জানান, বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের প্রটেকশন হিসেবে সোয়াত টিমকে মুভ করানো হয়। এ কারণেই ঘটনাস্থলের নিরাপত্তা এবং বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের নিরাপত্তার স্বার্থে সোয়াত টিমকে পাঠানো হয়েছে।
বিএনপি কার্যালয়ের ভেতর বিস্ফোরক পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের টিম এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছে। তারা সার্চ করছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বেশকিছু বোমাসদৃশ জিনিস পাওয়া গেছে। তবে এখনো সেটি ক্লিয়ার নয়। যেহেতু এখনো চেকিং শেষ হয়নি, তাই বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
নয়াপল্টনে সোয়াত মোতায়েনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের ফোর্স দরকার ছিল, কল করেছি, তখন বাড়তি ফোর্স এসেছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিবি ও সোয়াত সদস্যরাও আমাদের সঙ্গে যোগ দেন।
পুলিশ যখন মনে করে, তখনই বিশেষ বাহিনীগুলোকে কল করা হয় বলেও জানান তিনি।
বিকেল পৌনে তিনটার দিকে সোয়াত সদস্যরা নয়াপল্টনে আসেন। তবে তারা আসার আগেই পরিস্থিতি অনেকটাই পুলিশের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও সোয়াত সদস্যদের কোনো অ্যাকশনে যেতে দেখা যায়নি। তারা নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন।
সন্ধ্যায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সোয়াত মোতায়েনের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, আমরা শুনেছি ওখানে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে, তারা লাঠি নিয়ে আসছে। আমাদের পুলিশ নিরাপত্তার স্বার্থে শক্তি বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, আজ অফিসিয়াল ডে, পূর্বানুমতি ছাড়া রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করবে, তা কাম্য নয়। সার্বিক নাশকতার আশঙ্কায় আমরা শক্তি বাড়িয়েছি।
নয়াপল্টনে সংঘর্ষে একজন মারা গেছেন। অনেকে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২২
পিএম/আরএইচ