ঢাকা: বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশ এবং ভারত একে অপরের বড় উন্নয়ন সহযোগী। সেই জায়গাটি থেকে এই দুই দেশের বহুমুখী সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হচ্ছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) মৈত্রী দিবস উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়াম ‘ইন্ডিয়ান রিকগনেশন ম্যাটারস’ শীর্ষক এক আয়োজনে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রণয় ভার্মা বলেন, নতুন নতুন আশা আকাঙ্খার মাধ্যমে আমাদের (দুই দেশের) সহযোগিতার মাধ্যম আরও বিস্তৃত হচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারত সম্পর্কে ভাবাবেগ, ইতিহাস, সংস্কৃতি জড়িয়ে আছে। দিনে দিনে আমাদের দুই দেশের সামাজিক বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী হচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবেও দুই দেশের বিভিন্ন কার্যক্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং উন্নয়ন হচ্ছে। দুই দেশের আন্তর্জাতিক এজেন্ডা প্রায় এক। ফলে আমাদের পথটাও প্রায় এক এবং আমার একসঙ্গে কাজ করতে পারছি। আশা করি এগুলো আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও উচ্চতায় নিতে দুই দেশ কাজ করে যাচ্ছে।
ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সর্ববৃহৎ সহযোগিতার ইতিহাস আমাদের গৌরবের একাত্তর। মিত্রবাহিনী হিসেবে ভারতের অসংখ্য যোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ স্বাধীনের জন্য রক্ত দিয়েছেন। সেটিই আমাদের সম্পর্কের মূল শেকড়। আর সেখান থেকে এখন আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায়; যা খুবই ইউনিক ও সমৃদ্ধ। আর আমাদের বোঝাপড়াও অনেক ভালো।
এসময় ভারত-বাংলাদেশের ইতিহাস আরও ভালোভাবে জানতে দুই দেশের তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা ফাউন্ডেশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ভারতীয় সমর্থন না পেলে আমরা কখনোই ৯ মাসে স্বাধীনতা অর্জন করতে পারতাম না। আমাদের দেশ কোন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ব্যবহারের জন্য নয়। ওদের শেকড় অনেক গভীর। সেজন্য আমাদের এখন সচেতন হতে হবে। প্রত্যেকটা নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা আছে। ধর্মের ভিত্তিতে কোন রাষ্ট্র হয় না, ভাষা বা সংস্কৃতির ভিত্তিতেও হয় না। এটা হয় ভৌগলিকভাবে। তবে দুটি জিনিস অপরিহার্য, একটা ডেমোক্রেসি, একটা হিউম্যানিটি।
তিনি বলেন, ভারত আমাদের শুধু বিশ্বস্ত প্রতিবেশি নয়, পরীক্ষিত প্রতিবেশি। যে মূলনীতিগুলোর উপর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত, সেগুলোও ভারত যথাযথ সম্মান ও সাহায্য করে। আমরাও মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় যেসব নাগরিক অবদান রেখেছেন, তাদের পরিবারের জন্য স্কলারশিপ চালু করেছি। আশা করছি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুন্দর ও শক্তিশালী হবে।
আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, বাংলাদেশ স্বাধীনতা ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব নারায়ণ সাহা মনি, যুগ্ম আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাইদুর রহমান সজলসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
এইচএমএস/এসএএইচ