ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু

চুয়াডাঙ্গা: দীর্ঘ ৭ বছর পর আজ সোমবার (১২ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। শহরের ঐতিহাসিক টাউন ফুটবল মাঠে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

মাঠের দক্ষিণ কোণে তৈরি করা হয়েছে নৌকার আদলে সুসজ্জ্বিত মঞ্চ। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের উপস্থিতিতে পূর্ণতা পেয়েছে এ মঞ্চে। এছাড়া বিশাল মাঠজুড়ে দেখা গেছে জেলার নেতাকর্মীদের আনাগোনা। সম্মেলনে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের সমাগম ব্যবস্থা রেখেছে দলটি।

এদিকে, সম্মেলন ঘিরে নতুন সাজে বর্ণিল হয়ে উঠেছে জেলা শহর চুয়াডাঙ্গা। অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে পদপ্রত্যাশীদের ও নেতা-কর্মীদের ছবিসহ বিলবোর্ড, ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে জেলা শহর ও আশপাশের এলাকা। তৈরি করা হয়েছে অর্ধশতাধিক তোরণ। আলোকসজ্জার বর্ণিল সাজে সেজেছে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেবেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রধান বক্তা এবং খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আমিরুল আলম, পারভীন জামান কল্পনা, গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার কথা আছে।

জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বলেন, সম্মেলন উপলক্ষে মঞ্চ, সাজসজ্জা, অভ্যর্থনা, প্রচারসহ বেশ কয়েকটি উপ-কমিটি করা হয়। দুইটি পর্বে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বে উদ্বোধনের পর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। গত জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মঞ্চে থাকবেন। মঞ্চে জেলা কমিটির ৬৯ জন সদস্য থাকবেন। চুয়াডাঙ্গার ইতিহাসে সবচেয়ে সুষ্ঠু, সুন্দর ও জাঁকজমকপূর্ণ সম্মেলনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এই সম্মেলনে ২১৮ জন কাউন্সিলর ও ৪০ হাজার ডেলিগেটের আমন্ত্রণ জানিয়ে কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।

শীর্ষ পদে একাধিক প্রার্থী নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, দল ক্ষমতায় আসলে অনেক নেতার তাড়াহুড়ো থাকে। অনেক বড় সংগঠনে এ ধরনের সংকট থাকে। এমন সংকট নিয়ে আওয়ামী লীগ দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় চলছে। এবারের সম্মেলনে আমার প্রত্যাশা একটাই, দলটি নতুন করে ঐক্যবদ্ধ হবে, সংগঠিত হবে।

সম্মেলন নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি জানান, সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা দেশ, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক বিষয়ে বক্তৃতা করবেন। আর দ্বিতীয় অধিবেশন মানে কাউন্সিল অধিবেশনে। সেখানে কাউন্সিলরা যদি বলেন ভোট করতে হবে তাহলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভোট করতে বাধ্য। নেতা নির্বাচনে কাউন্সিলরাই প্রাণ। তারা যাকে চাইবে তিনিই নেতৃত্বে আসবেন।

উল্লেখ্য, গত ২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর টাউন ফুটবল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কাউন্সিলে সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপিকে সভাপতি ও আজাদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।