খুলনা: ‘প্রগতিশীল প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে খুলনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২২ পালিত হয়েছে।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে দিবসটি উপলক্ষে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের সূচনা করেন। এর সুফল আজ দেশের ১৭ কোটি মানুষ ভোগ করছে। ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের সহজলভ্যতায় মানুষের জীবনে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের সক্ষমতা যেমন বেড়েছে তেমনই মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তিজ্ঞানে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এ প্রযুক্তির মাধ্যমে সারা পৃথিবীর সাথে আমরা সংযোগ স্থাপন করতে পেরেছি। উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের মানুষ সহজে ডিজিটাল সেবা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর একক প্রচেষ্টায় ১৯৯৬ সালে শুল্ক ছাড়াই কম্পিউটার আমদানির সিদ্ধান্তের সুফল আজ দৃশ্যমান। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবো।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য ৪১৭৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। ৯৯৯ এবং ৩৩৩ হেল্পলাইনে ফোন কলের মাধ্যমে মানুষ জরুরি ও সাধারণ সেবাসমূহ সহজে পাচ্ছে। সরকারি ই-সার্ভিস এর মাধ্যমে সেবাগ্রহীতারা ঘরে বসেই সরকারি সেবা গ্রহণের সুযোগ নিচ্ছেন। দেশে সরকারি-বেসরকারি আইটি পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ও আইটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়েছে। দেশে ৬৭৯০টি ডিজিটাল সেন্টার রয়েছে, ৫২.৫৮ মিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে, সোস্যালমিডিয়া ব্যবহারকারী সংখ্যা ৪৯.৫৫ মিলিয়ন এবং মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৭৮.৫ মিলিয়নে উন্নীত হয়েছে।
খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. শহিদুল ইসলাম ও খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান। প্রধান আলোচক ছিলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. অনুপম কুমার বৈরাগী। অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মো. আনিসুর রহমান। স্বাগত বক্তৃতা রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুকুল কুমার মৈত্র। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর কবির বক্তৃতা করেন।
এর আগে মেয়রের নেতৃত্বে নগরীর শহিদ হাদিস পার্ক থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত বর্ণাঢ্য এক র্যালি বের করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্ত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
এমআরএম/এসএম