নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে রেলওয়ে অফিসার্স কলোনি এলাকায় একটি জলাধার দখল হয়ে গেছে। দখল করেছেন একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) এক কর্মকর্তা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অফিসার্স কলোনির ৫নং বাংলোর সামনে বিস্তীর্ণ জায়গা দখল হয়ে গেছে। এসব যায়গায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য ঘরবাড়ি। অবশিষ্ট ছিল একটি জলাধার। জলাধারটি মজে গেলেও এলাকাবাসী আবর্জনা ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করতেন।
এলাকার বাসিন্দা হারুনর রশিদ বলেন, ছেলেবেলা থেকেই জলাধারটি দেখে আসছি। এটি ব্রিটিশ আমলে অফিসার্স কলোনি এলাকায় অগ্নিনির্বাপণে কাজে আসতো। সম্প্রতি জলাধরটি মজে যায়। এরপর আমরা সেটা আবর্জনা ফেলার কাজে ব্যবহার করে আসছিলাম। কিন্তু হঠাৎ দেখি গত ১ ডিসেম্বর জায়গাটি দখল হয়ে গেছে। বিষয়টি এলাকার পৌর কাউন্সিলরকে অবহিত করি।
আরেক এলাকাবাসী মো. জার্জিস জানান, জলাধার দখল হয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী আবর্জনা ফেলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। যত্রতত্র আবর্জনা ফেলা হলে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হবে। কারণ এই এলাকায় একাধিক রেল কর্মকর্তার বাসভবন রয়েছে। আমি উপজেলা চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করেছি।
নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল হোসেন বলেন, জলাধারটি ওই এলাকার একমাত্র ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল। এটি দখল করেন রেলের জমিতে অবৈধভাবে বসবাসকারী এনজিও কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক। আমরা তাকে দখল ছেড়ে দিতে অনুরোধ জানাই। কিন্তু তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে জানান, এটা কারো বাপের জায়গা না, রেলের জায়গা রেল বুঝবে।
সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন বলেন, জলাধার দখলের বিষয়টি আমি অবহিত হয়েছি। রেলের পূর্ত বিভাগকে বলেছি জায়গাটি দখলমুক্ত করতে।
এ ব্যাপারে কথা হয় সৈয়দপুর রেলওয়ে পূর্ত বিভাগের ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলী শরিফুল ইসলামের সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, গত ৬ ডিসেম্বর আমরা ওই জলাধরটি দখলমুক্ত করি। পরে পুনরায় তা দখল হয়ে যায়। আমরা আবারও দখলদারকে বলে এসেছি, জায়গাটি ছেড়ে দেওয়া না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশা করছি দখলদার ব্যক্তি জায়গাটি ছেড়ে দেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
এমজেএফ