ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

দুই ভাইয়ের রেষারেষি, মারধর-গাড়ি ভাংচুর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২২
দুই ভাইয়ের রেষারেষি, মারধর-গাড়ি ভাংচুর

ঝালকাঠি: ঝালকাঠিতে ব্যবসায়িক বিরোধের জেরে এক ব্যবসায়ীর গাড়ি ভাংচুর করে তার ম্যানেজারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আদি সাবিহা কেমিক্যাল ওয়ার্কসের পরিচালক মো. শামীম আহম্মেদের নামে এ অভিযোগ করেন তারই ছোট ভাই ও গাড়ির মালিক আরিফুল হক।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চত করেছেন।  

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে শহরের পূর্ব কাঠপট্টি এলাকার শাহী মহলে ঘটে এ ঘটনা। ছোট ভাই মো. আরিফুল হক বাদী হয়ে এদিন রাতেই সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শামীম আহম্মেদ আত্মগোপনে রয়েছেন। তারা সাবিহা কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মৃত হাজী শাহাবুদ্দিন মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় দুলাল খলিফা ও আসাদুজ্জামান জামাল নামে অপর দুই জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বর্তমানে সাবিহা কেমিক্যালস ওয়ার্কসের উৎপাদিত শাহী স্পেশাল জাফরানী জর্দা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে বাজারজাত করা হয়। এর মধ্যে আদি সাবিহা কেমিক্যাল ওয়ার্কসের মালিক মো. সামছুল হক মনু। তার সঙ্গে আছেন ছোট ভাই মো. আরিফুল হক। অপরদিকে সাবিহা কেমিক্যাল ওয়ার্কসের উৎপাদিত জর্দা বাজারজাত করেন শামীম আহমেদ। আর তার সঙ্গে আছেন অপর ছোট ভাই রাজিবুল হক।

থানায় লিখিত অভিযোগ আরিফুল হক উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত বড় ভাই শামীম আহম্মেদের সঙ্গে তার আগে থেকেই ব্যবসায়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তার জেরে শামীম আহম্মেদ প্রায়ই মারধর করাসহ ক্ষয়ক্ষতি করেন। বড় ভাই সামসুল হক মনুর বাড়ির পেছনে দ্বিতীয় তলায় তাদের ব্যবসায়িক অফিস আছে।

অভিযোগে তিনি বলেন, ঘটনার দিন ২৯ ডিসেম্বর দুপুর পৌনে ২টায় ঝালকাঠি থানার পূর্ব কাঠপট্টি এলাকায় বড় ভাই সামসুল হক মনুর শাহী মহল নামক বাড়িতে ঢুকে শামীম আহম্মেদ আমার ম্যানেজার মিঠুন চক্রবর্তীর কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। এক পর্যায়ে তিনি পিস্তল দিয়া মিঠুনকে খুন করার হুমকি দেন। এর পর ঘটনাস্থলের পাশে থাকা ৭৫ লাখ টাকা দামের গাড়িটি ভাংচুর করে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেন। আর তাতে বাধা দিলে মিঠুন চক্রবর্তীর মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করেন। সেখানে দুলাল খলিফা ও আসাদুজ্জামান জামাল উস্কানি দিচ্ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

পরে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে অফিসের ড্রয়ার থেকে ৭ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।

এ বিষয়ে বার বার চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করায় শামীম আহম্মেদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।