খুলনা: হঠাৎ করেই খুলনায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। পৌষের কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মানুষ।
প্রচণ্ড শীতে বেশি কষ্ট পাচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। শীতে হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ফসলের বীজতলা ঠিকমতো পরিচর্যা করতে না পারা ও কুয়াশায় চারা নষ্ট হওয়ায় কৃষকরা পড়েছেন বিপদে।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) ঘড়ির কাঁটায় সকাল ১০টা অতিক্রম করলেও সূর্যের দেখা মেলেনি খুলনার আকাশে। ঘর থেকে বেরোলেই শরীরে কাঁপন ধরায়। শীত ও ঘন কুয়াশায় কাবু জনজীবন। হাড় কাঁপানো শীতের আক্রমণে নাগরিকরা রীতিমতো জবুথবু। গায়ে গরম কাপড় ও টুপি পরে তারা শীতের দাপট থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করে। নগরীর বস্তিগুলোর সামনে ছিন্নমূল মানুষ কাগজ-খড়কুটো পুড়িয়ে একটু উষ্ণতা পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিকে তীব্র শীতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে ভোরে কাজের সন্ধানে যাদের বের হতে হচ্ছে, তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।
নগরীর সোলায়মান নগর এলাকার বাসিন্দা মামুন আলী বলেন, কন কনে শীত ও হিমেল হাওয়ায় কারণে ঘর থেকে বের হওয়াই দায়।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকালে খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, একদিকে সূর্যের তাপমাত্রা নেই, অন্যদিকে উত্তর দিক থেকে বাতাস অব্যাহত থাকায় জেঁকে বসেছে শীত। আরো দুই-তিনদিন শীতের তীব্রতা এভাবে অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪ , ২০২৩
এমআরএম/জেএইচ