টাঙ্গাইল: গ্রেফতার এড়াতে নিজের নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে ৩৩ বছর ধরে পলাতক ছিলেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি শফিকুল ইসলাম ওরফে পাকুল ওরফে আগুন পাগলা। অবশেষে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ের (র্যাব-১৪) সদস্যদের হাতে আটক হন তিনি।
শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) ভোরে নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় শফিকুলের মেয়ের বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক শফিকুল টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার গিলাবাড়ি গ্রামের মুকছেদ আলীর ছেলে।
টাঙ্গাইল র্যাব-১৪ এর তিন নম্বর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, টাঙ্গাইলের বাসাইল থানায় ১৯৮৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর শফিকুল ইসলামের নামে একটি ডাকাতি মামলা করা হয়। এরপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। তার অনুপস্থিতিতেই ১৯৮৯ সালে শফিকুলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। রায়ের খবর পেয়ে শফিকুল নিজের নাম পরিবর্তন করে নাম রাখেন মো. হেলাল উদ্দিন চিশতী এবং পিতার নাম মুকছেদ আলীর পরিবর্তে মোসলেম উদ্দিন চিশতী ব্যবহার করে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন। আর সেখানে প্রকৃত ঠিকানাও পরিবর্তন করা হয়।
এভাবেই তিনি নিজের আসল পরিচয় গোপন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাস শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন মাজারে ভক্তিমূলক গানের দলে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন। এ কারণে মাজার এলাকাগুলোতে তিনি নিজেকে আগুন পাগলা হিসেবে পরিচয় দিতেন। গোপন তথ্যে খবর পাই যে শফিকুল নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় তার মেয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে আছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে ভোরে অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করা হয়।
কোম্পানি কমান্ডার জানান, জিজ্ঞাসাবাদে শফিকুল তার আসল পরিচয় গোপন করে ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়ত্র তৈরির কথা স্বীকার করেন। শুক্রবার বিকেলে তাকে বাসাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২৩
এফআর