ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গাছ কর্তন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৩
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গাছ কর্তন

বরগুনা: বরগুনায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ইহান পল্লী নামের একটি খামারে বাগানের গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল ও শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার বরগুনা সদর ইউনিয়নের হেউলীবুনিয়া এলাকায় ইহান পল্লী নামের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ক্রয় সূত্রে মালিক আরিফ খান জানান, শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু করে শনিবার সকাল পর্যন্ত এ সব গাছ কেটে ফেলা হয়। ১০ বছর আগে স্থানীয় রহিম মিয়া ও আবু জাফরের কাছ থেকে দুই একর ২০ শতাংশ জমি সাফ কবলা ক্রয় করে জমিতে ইহান পল্লী নামের একটি খামার গড়ে তোলি। পল্লীর ভেতরে পুকুর খনন করে চারপাশ ঘিরে দেশীয় ফলজ গাছ রোপন করি। জমি কেনার তিন বছর পর স্থানীয় জাফর হোসেন নামের এক ব্যক্তি জমি দাবি করে বিক্রেতা আবদুর রহিম ও আবু জাফরকে বিবাদি করে বরগুনা আদালতে পরপর দুইটি মামলা করেছিলেন। কিন্ত আদালত দুইটি মামলা খারিজ করে দেন। মামলায় হারার পর বাদি মো. জাফর হোসেন বিবাদীদের সঙ্গে আপোষ মিমাংসা করে এক ইহান পল্লীর দেখ ভাল করার দায়িত্ব নেন।

গত বছর মার্চ মাসের দিকে মো. জাফর গোপনে তার চাচাত ভাই মো. জাকির হোসেনকে বাদি করে ফের বরগুনা আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় ১ থেকে ১৭ নম্বার পর্যন্ত বিবাদি তারা নিজেরাই। মাত্র ১১ মাসে আদালত মামলার বাদি জাকির হোসেনের পক্ষে একতরফা রায় দেন। আদালতের রায় পাবার পর শুক্রবার বিকেলে মো. জাফর, জাকির, হারুন, শাহ আলম ও তার ছেলে মো. সানি ইহান পল্লীর ভেতরে ডুকে এক হাজারেরও বেশি গাছ কেটে ফেলে।

আরিফ খান বলেন, আদালত একতরফা রায় হওয়ার খবর জেনে আমরা আপিল করেছি। রোববার আপিলের শুনানি হবে। আপিলে তাদের রায় টিকবেনা জেনেই এভাবে আমার রোপণ গাছগুলো কেটে ফেলেছে প্রতিপক্ষ।  

তিনি আরও বলেন, আমি কয়েক বছর ধরে আম, জাম, আমলকি জলপাই, কামরাঙা, চালতাসহ কয়েক হাজার দেশীয় ফলদ গাছ রোপন করেছিলাম। আমার সেই গাছ কেটে ফেলা মানে আমাকেই হত্যা করা হয়েছে। রায় পেয়েছে শুনে আমি বিবাদিদের অনুরোধ করেছিলাম, জমি যদি পেয়ে থাকে আপানারাই গাছ ভোগ দখল করেন, আমার কোনো দাবি নেই। কিন্ত নির্মমভাবে গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। আমরা আদালতে আপিল করেছি। রোববার (৮ জানুয়ারি) শুনানির দিন ধার্য্য করেছে আদালত। শুনানীর পর আমরা ফৌজদারি আইনের আশ্রয় নেব।

বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহম্মেদ বলেন, যেহেতু বিষয়টি আদালতের আদেশ, এখানে আমাদের হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই। তবে সেখানে যদি ফৌজদারি কোনো অপরাধ সংঘঠিত হয়ে থাকে তবে কোনো পক্ষ চাইলে আইনি প্রতিকারের জন্য থানায় আসতে পারেন। আমরা তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেব।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।