ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালত বর্জন কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন চলছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালত বর্জন কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন চলছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই বিচারকসহ নাজিরের অপসারণ চেয়ে আইনজীবীদের সব আদালত বর্জন কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন চলছে।

রোববার (৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে জেলার কোনো আদালতেই যাননি আইনজীবীরা।

আইনজীবী সমিতির কার্যালয় চত্বরে অবস্থান নিয়ে তারা তাদের কর্মসূচি পালন করছেন। এতে করে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।  

এর আগে জেলা জজ শারমিন নিগার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুক ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে বৃহস্পতিবার, রোববার ও সোমবার পর্যন্ত তিনদিনের জন্য সব কোর্ট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি।

এদিকে বিচারপ্রাথীরা দূর-দূরান্ত থেকে আসলেও আইনজীবীদের কোর্ট বর্জন ও আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম না থাকায় তাদের ফিরে যেতে হচ্ছে। এতে তারা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।  

জেলা আইনজীবী সমিতির অ্যাডভোকেট তানভীর ভুইয়া জানান, কর্মসূচির নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিষয়টির সুরাহা না হলে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও উচ্চ আদালতে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৩ আইনজীবীকে তলবের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১৭ তারিখ উপস্থিত থেকে বিচারপতির কাছে আমাদের বক্তব্য উপস্থাপন করব।   

এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আদালতে এসে রীতিমতো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আইনজীবীরা আদালতে না আসায় বিচার প্রার্থী জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

গত ১ ডিসেম্বর একটি মামলাকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতির নেতাসহ একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের বিতণ্ডা হয়। সময় পার হয়ে যাওয়ায় নিয়ম অনুসারে বিচারক মামলাটি নিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হন আইনজীবীরা।

এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি। এছাড়াও তারা জাল স্ট্যাম্প ও বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে জাড়িত আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণে জেলা জজের কাছে দাবি জানান।

আইনজীবীদের অভিযোগ জেলা জজ ওই নাজিরকে রক্ষায় ভূমিকা রাখছেন এবং জেলা জজের ইন্ধনেই বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন আইনজীবীদের বিরুদ্ধে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। সেজন্য তারা জেলা জজ শারমিন নিগার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুক ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণের দাবি জানান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।