ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আখেরি মোনাজাত: বাস-ট্রেনে ঠাসাঠাসি, মুসল্লিদের ঢল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
আখেরি মোনাজাত: বাস-ট্রেনে ঠাসাঠাসি, মুসল্লিদের ঢল

টঙ্গীর তুরাগ পাড় থেকে: বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে টঙ্গীর তুরাগ তীরে দলে দলে আসছেন মুসল্লিরা।  

রোববার (১৫ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমা-২০২৩ এর প্রথম পর্ব।

 

বরাবরের মতো এবারও সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এজন্য মুসল্লিরা শনিবার (১৪ জানুয়ারি) রাত থেকে ময়দানে আসতে শুরু করেন। ভোর থেকে মুসল্লিদের চাপ অনেকটাই বেড়ে গেছে।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকে পায়ে হেঁটে, বাসে, পিকআপে, মোটরসাইকেলযোগে ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। রোববার (১৫ জানুয়ারি) ভোর থেকে ট্রেনে করেও আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে টঙ্গী এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকার কমলাপুর থেকে ছেড়ে আশা একটি ট্রেনে করে লাখ লাখ মানুষ আসেন ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত ধরতে। ট্রেনের ভেতরে লোকে লোকারণ্য, ভেতরে ঠাঁই না পেয়ে যাত্রীরা ট্রেনের ছাদে বসে, দাঁড়িয়ে আসতে শুরু করেন।  

রীতিমত ট্রেন বোঝাই হয়ে আসতে দেখা যায় মুসল্লিদের। যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপের কারণে ট্রেনও চলছিলো ধীরগতিতে।  

এছাড়াও, শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১২টা থেকে আব্দুল্লাহপুর থেকে গাজীপুর ভোগরা বাইপাস ও কামারপাড়া পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে রাজধানীর মহাখালী থেকেও পিকআপ, মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারে, আবার পায়ে হেঁটেও তুরাগ পাড়ের ইজতেমা ময়দানে আসছেন মুসল্লিরা।  

বাড্ডা থেকে ইজতেমার ময়দানে আগত মুসল্লি মুরাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবার ইজতেমা ময়দানে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আসি। গত দুই বছর আসতে পারিনি। তবে এ বছর মনে হচ্ছে অনেক বেশি মানুষের জমায়েত হয়েছে। সবাই যাতে নিরাপদে মোনাজাতে অংশ নিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে সেটাই কামনা করছি।  

আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আসা মুসল্লি মো. ইব্রাহিম বলেন, নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থেকে তিনি ট্রেনযোগে প্রথমে কমলাপুর আসেন। কমলাপুর থেকে আবার ট্রেন যোগে টঙ্গী স্টেশনে এসে তিনি পায়ে হেঁটে ময়দানের দিকে রওয়ানা হন।

এই মুসল্লি বলেন, ট্রেনে জায়গা না পেয়ে ট্রেনের ছাদে চড়ে এসেছি। কিছুটা ভয় লাগলেও অনেক মানুষ থাকায় মনে সাহস ছিলো। কেউ যাতে ট্রেনের ছাদ থেকে না পড়ে যায়, তাই সবাই সবার হাত ধরে রেখেছিলাম।  

মোনাজাত শেষে আবার ট্রেনে করেই ফিরতে চাই। যদি সম্ভব না হয়, তবে কোনো না কোনো উপায়ে বাড়ি ফিরে যাবো, ইনশাআল্লাহ।  

এদিকে বিমানবন্দর থেকে পায়ে হেঁটে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আসতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা।  

সড়কে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। ময়দানের বাইরের সড়ক ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় নজরদারিতে রয়েছেন র‍্যাব-পুলিশ সদস্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
এসজেএ/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।