ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সহকর্মীর মারধরে হাসপাতালে প্রধান শিক্ষক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
সহকর্মীর মারধরে হাসপাতালে প্রধান শিক্ষক

খুলনা: খুলনার ৩৮নং তেরখাদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এহতেশামুল হককে মারধর করেছেন ওই স্কুলেরই সহকারী শিক্ষক সরদার নবীর হোসেন।  

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) স্কুল চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে।

পরে আহত প্রধান শিক্ষক এহতেশামুল হককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে মারধরের এক পর্যায়ে অন্যরা তাকে রক্ষার্থে স্কুলের বাথরুমে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে রাখেন। বাথরুমে বসেই তিনি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ফোনে ঘটনা জানিয়ে তাকে উদ্ধারের আহ্বান জানান এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে।

জানা যায়, ৩৮নং তেরখাদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০২২ সালে খুলনা জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে পুরস্কৃত হয়। এছাড়া শিক্ষক এহতেশামুল হক ২০১৫ সালে খুলনা জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি পান।

এদিকে, খবর পেয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বিদ্যালয়ে হাজির হলেও অভিযুক্ত শিক্ষক সরদার নবীর হোসেনকে পাননি। ঘটনার পর থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আহত এহতেশামুল হক বলেন, স্কুলের মোট শিক্ষক ১০ জন। সহকারি শিক্ষক নবীর হোসেন স্কুলে নিয়মিত উপস্থিত না হওয়ায় সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হলে তাকে লঘু সাজা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মামলার ঘটনায় তিনি আমাকে দায়ী করে বিভিন্ন সময় দেখে নেওয়ার হুমকি দিতেন। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) শিক্ষকদের কাছে স্কুলের যাবতীয় ব্যয়ের হিসাব দিলে নবীর হোসেন আমাকে বলেন, আপনি স্কুলের টাকা মেরে খান। এক পর্যায়ে তিনি ফোন দিয়ে লোকজন ডেকে আনেন এবং আমার ওপর চড়াও হন। আমাকে ধাক্কা, লাথি ও মারধর করলে স্কুলের শিক্ষকরা আমাকে বাথরুমে ঢুকিয়ে আটকে রাখেন।

তিনি আরও বলেন, আমি তখন বাথরুমে বসেই উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও ওসিকে পুরো ঘটনা জানাই। থানা থেকে পুলিশ ফোর্স এসে আমাকে উদ্ধার করে। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে নবীর হোসেন পালিয়ে যায়। আমার কানে, মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লেগেছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর এ বিষয়ে লিখিত দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সহকারি শিক্ষক প্রধান শিক্ষককে পিটিয়েছেন, বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
এমআরএম/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।