ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আখাউড়া দিয়ে এক মাস মাছ নেবে না ভারত 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
আখাউড়া দিয়ে এক মাস মাছ নেবে না ভারত 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ রফতানিমুখী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্ধর দিয়ে এক মাসের জন্য ভারতে মাছ রফতানি বন্ধ রাখতে হবে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়ার তরফে মাছ রফতানি বন্ধের এ ঘোষণা এসেছে।

 

বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া স্থলবন্দরের মৎস্য রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া।  

মাছ রফতানিকারক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ টন মাছ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যসহ আশেপাশের সাতটি রাজ্যে রফতানি হয়। প্রতি কেজি মাছের রফতানি মূল্য আড়াই মার্কিন ডলার। প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ডলারের মাছ রফতানি হয়। তবে ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি আমদানি করা মাছের মান যাচাইকরণে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং জনবল না থাকায় মাছ আমদানি বন্ধ রাখার জন্য বলেন সেখানকার ব্যবসায়ীদের। এর ফলে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য মাছ রফতানি বন্ধ রয়েছে। এতে করে ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তেমনি সরকারও কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হবে। পাশাপাশি বন্দরের রফতানি বাণিজ্য আরও বেশি সংকুচিত হয়ে পড়বে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোবারক হোসেন বলেন, এতদিন এ ধরনের কোনো জটিলতা ছিল না। আমাদের মনে হয়, এ ধরনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সে দেশের ব্যবসায়ীদের মাছ আমদানি থেকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। মাছ রফতানি বন্ধ হওয়ার ফলে আমাদের রেমিটেন্সে বিরুপ প্রভাব পড়বে।  

আখাউড়া স্থলবন্দরের মৎস্য রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া বলেন, আমাদের বন্দরটি প্রায় শতভাগ রফতানিমুখী। এই বন্দর দিয়ে যেসব পণ্য রফতানি হয় তার সিংহভাগই মাছ। হঠাৎ করে এই বন্ধের সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশের মৎস্য ব্যবসায়ীরা বেশ লোকসানে পড়বে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারও কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হবে।  

আখাউড়া স্থলবন্দরেরর সুপারিন্টেনডেন্ট মো. সামাউল ইসলাম জানান, চিঠির মাধ্যমে মাছ আমদানি বন্ধের বিষয়টি ভারত থেকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে। তবে যেহেতু স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ মাছের ট্রাক থেকে শুল্ক আদায় হয় বেশি, সেজন্য মাছ রফতানি বন্ধের ফলে বন্দরের আয়ে ভাটা পড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩
এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।