বান্দরবান: মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের জিরো পয়েন্ট অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গাদের শুন্যরেখা থেকে সরিয়ে ঘুমধুমের ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার থেকে ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজের সহায়তায় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) প্রতিনিধি প্রীতম শাহর তত্ত্বাবধানে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশেপাশে অবস্থান নেওয়া প্রায় ২ হাজার ৯৭০ জন রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রথম দফায় সকালে ৩৬ পরিবারের ১৮৬জনকে ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, পর্যায়ক্রমে নিবন্ধিত সব রোহিঙ্গাকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে সরিয়ে ট্রানজিট ক্যাম্পে নেওয়া হবে এবং সেখান থেকে পরবর্তী তাদের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে পাঠানো হবে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা জানান, নিবন্ধিত সব রোহিঙ্গাকে পর্যায়ক্রমে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে আর এইজন্য প্রশাসন সজাগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জানুয়ারি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা ও আরএসওর মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে দুর্বত্তদের দেওয়া আগুনে শুন্যরেখায় থাকা রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেলে রোহিঙ্গারা তাবু টানিয়ে তুমব্রু বাজারে ও তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর আশেপাশে আশ্রয় নেয়। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের নাম ঠিকানা নিবন্ধন করে তাদের শরনার্থী শিবিরে সরানোর কার্যক্রম শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৩
এসএ