ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

যাচাই-বাছাই কমিটিতে বহির্ভূতদের হস্তক্ষেপ, মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভ

জাহিদুল ইসলাম মেহেদী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩
যাচাই-বাছাই কমিটিতে বহির্ভূতদের হস্তক্ষেপ, মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভ

বরগুনা: বরগুনার বামনায় সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্তির জন্য যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে কমিটির বহির্ভূত ব্যক্তিদের উপস্থিতি ও অযাচিত হস্তক্ষেপ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে যাচাই-বাছাই দাবিদার মুক্তিযোদ্ধারা।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে বামনা উপজেলায় যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) অফিস কক্ষে তিন দিনব্যাপী উপজেলার ৪ ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাদের এ যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলবে।  

উপজেলায় এই যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. শফিকুল ইসলামকে সভাপতি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অন্তরা হালদার-সদস্য সচিব ও বীরমুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মেদকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়।  

জানা গেছে, বামনায় ২২৮ জন তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। ৪৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এর বাইরে আরও ২০ জন আবেদনকারী ডিজিআই নম্বর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয়ের সুপারিশসহ আবেদন করেছেন।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও বামনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. নেছার উদ্দিন বলেন, তিন সদস্যের কমিটির সদস্যদের উপস্থিত থেকে যাচাই-বাছাই করার নিয়ম থাকলেও কমিটির বাইরের কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত থেকে হস্তক্ষেপ করে যাচাই প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করছে; যা অত্যন্ত দুঃখজনক। কেন এবং কি উদ্দেশ্যে তারা এটা করছেন এমন প্রশ্নও করেন তিনি।

যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আব্দুর রশিদ বামনা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আব্দুস সোবাহান ও নুরুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা-সহ একাধিক অননুমোদিত ব্যক্তিদের উপস্থিত থেকে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় প্রভাবিত করায় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা মন্তব্য করেন কিসের বিনিময় এবং কাদের পক্ষে তারা জোট বেঁধে হস্তক্ষেপ করছেন?

বামনার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. জয়নাল আবেদীন খান বলেন, সাবেক জেলা কমান্ডার আব্দুর রশিদ নিজেই বিতর্কিত লোক। তিনি যুদ্ধকালে ভারত ছিলেন। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে তার জানার কথা নয়। তার উপস্থিতি যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব অন্তরা হালদার বলেন- এ ক্ষোভ সঠিক নয়, এখানে ওপেন যাচাই-বাছাই হচ্ছে; যে কেউ থাকতে পারবে। এতে কোনো বিধিনিষেধ নেই এবং সরকারি কোন বিধি-নিষেধ আরোপিত হয়নি। তারা কোনো প্রভাব বিস্তার করছেন না।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৩
এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।