ঢাকা, বুধবার, ২৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফরিদপুরে ১৯২ ভিজিডি কার্ডধারী পেলেন না সঞ্চয়ের টাকা!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
ফরিদপুরে ১৯২ ভিজিডি কার্ডধারী পেলেন না সঞ্চয়ের টাকা!

ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় ১৯২ ভিজিডি কার্ডধারী মাসিক জমা করা ৩ লাখের বেশি টাকা না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নে।

কার্ডধারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ডধারীর আছেন ১৯২ জন। প্রত্যেক সদস্যের মাসিক সঞ্চয় ছিল ২০০ টাকা। দুই বছর মেয়াদ শেষে প্রত্যেক সদস্য জমা করার চার হাজার ৮০০ টাকা পাওয়ার কথা ছিল। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে কার্ডধারীরা তাদের সঞ্চয় রাখতে শুরু করেন। কিন্তু ইউনিয়নের সূর্যোগ বাজারে অবস্থিত ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় একাউন্ট খোলায় সার্ভার জটিলতা দেখা দেয়। ফলে ওই ১৯২ ভিজিডি কার্ডধারীর একাউন্ট খোলা হয় ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে।

কিন্তু জানুয়ারি থেকেই কার্ডধারীরা মাসে ২০০ টাকা করে জমা দিতে থাকেন। কিন্তু ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ১৯২ কার্ডধারীর জমা করা আট মাসের তিন লাখ সাত হাজার ২০০ টাকা পরবর্তীতে আর ব্যাংকে জমা পড়েনি। মেয়াদ শেষে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যাংক এশিয়া থেকে ভিজিডি কার্ডধারীরা তাদের জমা করা টাকা তুলতে গেলে কার্ড প্রতি এক হাজার ৬০০ টাকা কম দেওয়া হয়।  

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ভিজিডি কার্ডধারী তাহমিনা বলেন, আমি চার হাজার ৮০০ টাকা জমা দিলেও আমাকে তিন হাজার ২০০ টাকা দেওয়া হয়েছে।

একই অভিযোগ করেন আরেক কার্ডধারী মোসাম্মাৎ রেশমাও।

এ ব্যাপারে রূপাপাত ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সোনা মিয়া বলেন, আমার মেয়াদকালীন সময়ে যে টাকা পেয়েছি তা কার্ডধারীদের সঞ্চয় হিসেবে ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়েছে। জমা করা টাকা মেয়াদ শেষে ভিজিডি কার্ডধারীদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিং-এর স্থানীয় স্বত্বাধিকারী মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত আট মাসের টাকা ব্যাংকে জমা পড়েনি।

এ ব্যাপারে ওই সময়ে দায়িত্বে থাকা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আজিজার মোল্যা টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার কাছে টাকাটা আছে। আমি এ মাসের শেষ দিকে দিয়ে দেব।

এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহানা কাকলী বলেন, এর আগেও একবার ওই ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান (আজিজার মোল্যা) কার্ডধারীদের জমা করা টাকা কম দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। পরে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে জমা করা টাকা কার্ডধারীদের বুঝিয়ে দেই।

তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান টাকা উঠিয়ে থাকলে টাকা কার্ডধারীদের ফিরিয়ে দিতে বাধ্য। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।