ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘স্থপতি মোবাশ্বের ও কূটনীতিক মহিউদ্দিন শের মঙ্গলে কাজ করে গেছেন’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
‘স্থপতি মোবাশ্বের ও কূটনীতিক মহিউদ্দিন শের মঙ্গলে কাজ করে গেছেন’

ঢাকা: বীর মুক্তিযোদ্ধা স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কূটনীতিক মহিউদ্দিন আহমেদ মহান মুক্তিযুদ্ধে যেমন সাহসী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তেমনি যুদ্ধ পরবর্তী সময়েও প্রতিবাদী ছিলেন। তারা দুজনই সত্য ও স্পষ্টবাদী ছিলেন।

তারা সারাজীবন দেশের মঙ্গলের জন্য কাজ করে গেছেন।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি)  স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন ও কূটনীতিক মহিউদ্দিন আহমেদের স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।  

জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে স্মরণসভা আয়োজন করে সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১।

স্মরণসভায় সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ম হামিদ বলেন, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনকে নির্বাচন করতে হতো না। বরং সবাই জোর করে ধরে তাকে নির্বাচিত করতেন। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের তহবিল সংগ্রহের জন্য উনি সে সময় নিজের একটি ফ্ল্যাট দিয়ে দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা থেকে তিনি কখনোই বিচ্যুত হননি। পরিবেশ, নগর, শিক্ষা, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সবসময় কথা বলেছেন তিনি। যা বিশ্বাস করেছেন তা সরাসরি বলেছেন। কাউকে সমীহ করেননি।

তিনি আরও বলেন, কূটনীতিক মহিউদ্দিন আহমেদ শুধু মুক্তিযুদ্ধেই অবদান রাখেননি। বরং যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশের জন্য লেখালেখি করেছেন। তার কলাম পড়ে পাঠকরা অনেককিছু জেনেছে। সংকটের সময় তার লেখা পড়ে আমরা উজ্জীবিত হয়েছি।  

স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, আজকে আমরা দেশের বিভিন্ন সমস্যায় হতাশ হয়ে পড়ি। হতাশ মানুষ নির্জীব, তারা প্রতিবাদ করতে পারে না। মোবাশ্বের হোসেন হতাশাবাদী মানুষ ছিলেন না। তিনি সবসময় মুখের উপর সত্য কথা বলেছেন। মাঠে-ঘাটে সবসময় আন্দলনে সক্রিয় ছিলেন।  

তিনি আরও বলেন, মোবাশ্বের হোসেন তার সারাজীবনের আয় দেশের মানুষের জন্য ব্যয় করেছেন। শুধু দেশেই নয়, তিনি দেশের বাইরেও মানুষের জন্য কাজ করেছেন। শ্রীলংকায় সুনামিতে বাবা-মা হারানো দুটি সন্তানের দায়িত্ব নিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত তাদের সমস্ত খরচ দিয়েছেন।

স্মরণসভায় মহিউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী বিলকিস বলেন, ব্যক্তি মহিউদ্দিনের মন ছিল অনেক উদার। কোনো অসহায় লোক দেখলেই তার চোখ ছলছল করে উঠত। এমনকি মুরগিওয়ালা, সবজিওয়ালা, ছাইওয়ালারা দুই-এক দিন না আসলে তিনি খবর নিতেন যে ওদের অসুখ করলো কি না।

স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরামের নির্বাহী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আলম, মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারী, মহিউদ্দিন আহমেদের ছোট ভাই জিয়াউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
এসসি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।