ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ই-টেন্ডারিং চালু হওয়ায় দুর্নীতি কমেছে: কৃষিমন্ত্রী

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩
ই-টেন্ডারিং চালু হওয়ায় দুর্নীতি কমেছে: কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা: নির্মাণ কাজের ক্ষেত্রে ই-টেন্ডারিং চালু হওয়ায় দুর্নীতি কমছে বলে মনে করছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। তিনি এও মনে করেন, সব ক্ষেত্রে ডিজিটাইলাজেশনে গেলে দুর্নীতি কমে যাবে।

পাশাপাশি ভবিষ্যতে আইসিটি বাংলাদেশের জন্য অনেক সম্ভাবনাময় সেক্টর হবে।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর পূর্বাচলে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে আয়োজিত ১৭তম বেসিস সফট এক্সপো-২০২৩ এর দ্বিতীয় দিনে মিনিষ্টারিয়াল কনফারেন্সে প্যানেল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে অনেক জায়গায় টেন্ডারবাজি কমেছে স্মার্ট টেন্ডার চালু হওয়াতে। বললে হয়তো আপনারা বিশ্বাস করবেন না, আমার মায়ের নামে টাঙ্গাইলে একটা কলেজ করেছি আমি। তো, সেখানে ভবনের নির্মাণের জন্য যে টেন্ডার, সেখানেও আমি এত বড় মন্ত্রী হয়ে প্রভাবিত করিনি। উল্টো যারা টেন্ডার পেয়েছে, তাদের থেকে আমি কিনে এনেছি কাজটা, নিজেরা ভালোভাবে করার জন্য। কাজেই ই-টেন্ডারিং আসার পর টেন্ডারবাজি কমেছে, দুর্নীতিও কমেছে।


মন্ত্রী বলেন, ১৩ বছরে আমাদের মোট জিডিপি ৮ গুণ বেড়েছে। ওয়ালস্ট্রীট জার্নাল এক ফিচারে লিখেছে, বাংলাদেশের জিডিপির যে প্রবৃদ্ধি এটা বিশ্বের সামগ্রিক কিউমিলেটিভ জিডিপির মধ্যে সর্বোচ্চ।

তিনি বলেন, আমি ২টা পরিসংখ্যান দিই। দেশ স্বাধীনের পরের সময় দানাশস্যের উৎপাদন ১ কোটি ১০ লাখ টন ছিল। এখন এটি ৪ লাখ টন। প্রায় ৪গুণ উৎপাদন বেড়েছে।

সবজির উৎপাদন ২২ মিলিয়ন টনে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, ৭-৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভুট্টা উৎপাদন ছিল ৬ লাখ টন ছিল, সেটা এখন ৬০ লাখ টন।  

এই কৃষিকে আমরা আধুনিক কৃষি করব। যাতে, কৃষিকাজ করে মানুষ তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে হবে। কৃষিকে আধুনিক করতে হলে ডিজিটাল করতে হবে। যেমন: একজন কৃষক স্মার্ট কার্ড করলে, তার কি পরিমাণ জমি আছে, কি পরিমাণ খাদ্যশস্য থাকবে, সেটি সেখানে থাকবে। এটা হল স্মার্ট কৃষি। এছাড়া কৃষি সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার সমাধান কৃষকরা এই স্মার্ট কার্ড থেকে নিতে পারবেন।

মন্ত্রী বলেন, তারপর আমরা বলছি, সেইফ ফুড। নিরাপদ খাবার৷ আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে যেতে চাই। এরপর হলো মার্কেটিং। এতে কম্পিউটার, আইটি সেক্টরের ব্যাপক ব্যবহার করা যাবে। ড্রোন ব্যবহার করে সার-কীটনাশক ছিটানো ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে।

প্যানেল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আলোচনা করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। আলোচনা পর্বটি সঞ্চালনা করেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩
এমকে/ইএসএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।