ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁদা না পেয়ে হোটেল ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
চাঁদা না পেয়ে হোটেল ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ফয়সাল ফরহাদ নামে এক হোটেল ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আবদুর রাজ্জাক রিংকু নামে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

যুবলীগের পোগ্রাম আয়োজনের জন্য ওই হোটেল ব্যবসায়ীর ভাইয়ের কাছে দাবিকৃত দুই লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে তাকে মারধর করেন রিংকু ও তার লোকজন।

যে দৃশ্য সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।  

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভুক্তভোগী ফরহাদের ভাই ওমর ফারুক পুলক জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে যুবলীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক রিংকুসহ তিনজনের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।  

অভিযুক্ত রিংকু সদর উপজেলা চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। অন্যরা হলেন- চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য শেখ রাসেল ও পারভেজ খাঁন আকাশ।  

ভুক্তভোগী ফয়সাল ফরহাদ সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারের শ্রমিক হোটেলের মালিক ও দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে যুবলীগ নেতা রিংকু একটি পোগ্রামের জন্য বাদী ফারুকের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তবে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন বাদী। পরদিন (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে রিংকুসহ অভিযুক্তরা ওমর ফারুকের ভাই ফয়সাল ফরহাদকে হোটেলের সামনে এনে মারধর করেন। এসময় প্রকাশ্যে তাকে জবাই করার হুমকি দেন রিংকু। পরে স্থানীয়রা রিংকুর হাত থেকে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।  

ফয়সাল ফরহাদ ও ওমর ফারুক জানায়, যুবলীগের বিভিন্ন পোগ্রাম উপলক্ষে রিংকু তার লোকজন নিয়ে এসে টাকা ছাড়াই হোটেলে খেয়ে যেতেন। এরপরও বিভিন্ন পোগ্রামের অজুহাতে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা করে একাধিকবার নিয়েছেন। শেষ একটি পোগ্রাম করতে ২ লাখ টাকা লাগবে বলে রিংকু চাঁদা দাবি করেন। ওই টাকা না দেওয়ায় প্রকাশ্যে ফরহাদকে মারধর করা হয়। আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে ফরহাদকে খুন (জবাই) করা হবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেন। এতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন হোটেল মালিক ও তার ভাই।

তবে পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত আবদুর রাজ্জাক রিংকু বলেন, ফরহাদ আমাকে গালমন্দ করেছেন। এজন্য তাকে চড়-থাপ্পড় দিয়েছি। তার কাছে কোনো টাকা চাওয়া হয়নি।

সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আমির হোসেন বলেন, বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি। খোঁজ-খবর নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর ওই হোটেলের মালিক ওমর ফারুক বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।