পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে আহমদিয়া অনুসারিদের (কাদিয়ানী) জলসা বন্ধের দাবিতে করা বিক্ষোভ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে মুসল্লিদের ১০ ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলে। এ ঘটনায় বিক্ষোভকারী ও কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের দুইজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (০৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার পর পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে জলসা বন্ধের এ নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে গভীর রাতে বাংলানিউজকে মুঠোফোনে দুইজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পঞ্চগড় পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম সিরাজুল হুদা।
নিহতরা হলেন বিক্ষোভকারী পঞ্চগড়ের মহিলা কলেজ রোড এলাকার ফরমান আলীর ছেলে আরিফুর রহমান আরিফ (৩০) ও অপরজন আহমদিয়া সম্প্রদায়ের নাটোর জেলার বাসিন্দা জাহিদ হাসান (২২)। এদের মধ্যে আরিফ ছাত্র শিবির কর্মী বলে জানায় পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজের পর মুসল্লিরা কাদিয়ানীদের জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। তারা পঞ্চগড় শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। বাধার মুখে পড়ে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন মুসল্লিরা। পরে পুলিশ টিয়াসেল নিক্ষেপ করলে মুসল্লিরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। সেখানে উত্তেজনা পরিস্থিতি বিরাজ করলে পুলিশের পাশাপাশি মাঠে নামে বিজিবি ও র্যাব। তারা বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে মুসল্লিদের ইটপাটকেলে কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ দুই পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়।
বিক্ষোভকারী মুসল্লিরা শহরের বিভিন্ন স্থানসহ ট্রাফিক অফিস ও কাদিয়ানীদের দোকানে ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করেন। এদিকে কাদিয়ানীদের বেশ কিছু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
পঞ্চগড় পুলিশ সুপার (এসপি) সিরাজুল হুদা বাংলানিউজকে বলেন, নিহত আরিফ একজন ছাত্র শিবির কর্মী ছিলেন। সংঘর্ষে মুসল্লিদের ছোড়া ইটপাটকেলে আঘাত পেয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে মুসল্লি ও আহমদিয়াদের সংঘর্ষে জাহিদ নামে এক কাদিয়ানীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৩
এফআর