ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ত্রিভুজ প্রেমের জেরে কলেজছাত্র খুন, গ্রেফতার ৪

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২৩
ত্রিভুজ প্রেমের জেরে কলেজছাত্র খুন, গ্রেফতার ৪

দিনাজপুর: দিনাজপুরে ত্রিভুজ প্রেমের জেরে খুন হলো শাহরিন আলম বিপুল (১৮) নামে এক কলেজছাত্র। এ ঘটনায় ৪ তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এসময় আসামিদের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল ও চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমদে।

এর আগে সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে দিনাজপুর জেলা স্টেডিয়ামের সিঁড়ির নিচের ময়লার স্তুপ থেকে বিপুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত শাহরিন আলম বিপুল দিনাজপুর সদর উপজেলার ৯নং আস্করপুর ইউনিয়নের বোর্ডেরহাট গোবিন্দপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে।

গ্রেফতার আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার শালকী (বোয়ালমারী) এলাকার রশিদের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২০), ৬নং উপশহর পুরাতন পাওয়ার হাউজ এলাকার উজ্জল হোসেনের ছেলে শাকিব শাহরিয়ার (২২), সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে আশরাফুল হোসেন মিলন (১৮) ও হাউজিং মোড় এলাকার হামিদুর রহমানের ছেলে আসিফ মাহমুদ হৃদয় (১৯)।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, আসামি দেলোয়ার হোসেন একটি মেয়েকে পছন্দ করত। মেয়েটির সঙ্গে শাহরিন আলম বিপুলের আগে থেকে পরিচয় ও সম্পর্ক ছিল। কিছুদিন পর এটা দেলোয়ার জানতে পারে। তারপর থেকে বিপুলকে মারার পরিকল্পনা করতে থাকে দেলোয়ার।  

শাহ ইফতেখার আহমদে বলেন, মার্চ মাসের ১ তারিখে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে বিপুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেলোয়ার। এক পর্যায়ে বিপুলের ছবি তোলার সখের বিষয়ে জানতে পেরে তাকে কয়েকদিনের জন্য একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা ধার দেওয়ার কথা বলে দেলোয়ার। ঘটনার দিন (৪ মার্চ) সকালে জেলা স্টেডিয়ামে ডেকে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দেলোয়ার ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে শাহরিন আলম বিপুলকে হত্যা করে। পরে বিপুলের মরদেহ গ্যালারির সিঁড়ির নিচের ময়লার স্তুপে রেখে তারা পালিয়ে যায়।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ঘটনার পর আমাদের পুলিশ টিম তদন্ত শুরু করে এবং বিভিন্ন স্থান থেকে চারজনকে গ্রেফতার করে। আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে এবং রিমান্ড আবেদন করা হবে।  

এ ঘটনায় জড়িত দুইজন এখনো পলাতক এবং তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান বলেও জানান জেলা পুলিশের এই দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।  

উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ সকাল ৯টার দিকে ওষুধ কেনার কথা বলে বাসা থেকে বের হন শাহরিন আলম বিপুল। পরে বাসায় না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করে তার পরিবার। কোথাও না পেয়ে পরেরদিন (৫ মার্চ) রাতে কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন নিহত বিপুলের বড় ভাই শাহরিয়ার আলম।  

এর পরদিন (৬ মার্চ) দুপুরে দিনাজপুর জেলা স্টেডিয়ামের গ্যালারির সিঁড়ির নিচের ময়লার স্তুপ থেকে বিপুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।