পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে আহমেদীয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানী) সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, হামলা, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গত ৭ মার্চ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন মনসুর আলী।
আর কারাবন্দি বাবাকে দেখতে চাচার সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে স্কুল থেকে বের হয়েছিল মীম (১১)।
বুধবার (১৫ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের মান্দুল পাড়া এলাকায় তেঁতুলিয়া-পঞ্চগড় মহাসড়কে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মীম বুড়াবুড়ি আদর্শ কিন্ডারগার্টেনের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মীমের ছোট ভাই মুস্তাকিম ও চাচা ফজলুল হয়। এদের মধ্যে ফজলুরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের মাতাম। এছাড়া স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়েছে প্রায় এক ঘণ্টা সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়।
ওই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ঘাতক কাভার্ডভ্যান আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কারাগারে থাকা মনসুর আলীকে দেখতে বুধবার পরিবারের সদস্যরা তারিখ ঠিক করে। সকালে পরীক্ষা দিতে স্কুলে গিয়েছিল মীম। পরীক্ষা শেষে মীমকে স্কুল থেকে মোটরসাইকেলে নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তার চাচা ফজলুল হক। কথা ছিল মীমসহ একত্রে কারাগারে যাওয়ার জন্য। বাড়ির সামনে পৌঁছালে মহাসড়কে পেছন থেকে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রাণালয়ের একটি দ্রুতগামী কাভার্ডভ্যান মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। তারা তিনজনই সড়কে ছিটকে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলে মারা যায় মীম। গুরুতর আহত হয় মীমের ছোট ভাই মুস্তাকিম ও চাচা ফজলুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
এসএএইচ