ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ময়মনসিংহে ক্লু-লেস দুই হত্যার রহস্য উদঘাটন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৩
ময়মনসিংহে ক্লু-লেস দুই হত্যার রহস্য উদঘাটন

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ নগরী ও ধোবাউড়া উপজেলায় পৃথক দুইটি ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এসব ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত তিন আসামি।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকাল ১১টায় জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহম্মেদ ভূঞা।  

বিফ্রিংয়ে এসপি জানান, গত ১৮ মার্চ ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর গ্রামে মাদরাসা পড়ুয়া তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (১১) ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ নেতাই নদীতে ফেলে পালিয়ে যায় খুনিরা। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলে সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদে ইউসুফসহ (২০) দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছে জানিয়ে এসপি আরও বলেন, ঘটনার দিন ওই মাদরাসা শিক্ষার্থীকে বাড়ির পাশের কলা বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে এক কিশোর (১৫) ও আসামি ইউসুফ (২০)। পরে ঘটনাটি প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয়ে তারা ওই শিক্ষার্থীকে গলাটিপে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়।

অপরদিকে একই দিনে নগরীর নিরালা রেস্ট হাউজ থেকে অজ্ঞাত এক তরুণীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে তদন্তে নামে। ওই তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত ১৯ মার্চ রাতে আসামি রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে (২৩) মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।    

জিজ্ঞাসাবাদে আসামি রাকিব হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে জানিয়ে এসপি বলেন, আসামি রাকিব লেখাপড়ার পাশাপাশি নড়াইল সমাজসেবা কার্যালয়ে আউট সোর্সিংয়ের কাজ করত। গত ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় আসামি রাকিব ঢাকার আগারগাঁও অফিস থেকে মিরপুর শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডের ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে যাওয়ার সময় এক পতিতা তরুণীর সঙ্গে তার কথা হয়।

এ সময় সে ওই তরুণীকে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার শর্তে ময়মনসিংহ নিয়ে এসে নিরালা রেস্ট হাউজে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে রাত্রী যাপন করে। এরপর ১৫ মার্চ শর্তের টাকা নিয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে আসামির কথা কাটাকাটি হলে বাইরে থেকে একশ টাকায় চাকু কিনে এনে তরুণির গলাকেটে হোটেলের বাথরুমে ফেলে পালিয়ে যায় রাকিব। গ্রেফতারকৃত আসামিদের সংশ্লিষ্ট মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এসপি।

বিফ্রিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শাহীনুল ইসলাম ফকির (শাহীন), কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ, ওসি (তদন্ত) ফারুক হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।