ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁদপুর-চট্টগ্রামবাসীর চাহিদা মেটাচ্ছে বরিশালের তরমুজ

মুহাম্মদ মাসুদ আলম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৩
চাঁদপুর-চট্টগ্রামবাসীর চাহিদা মেটাচ্ছে বরিশালের তরমুজ

চাঁদপুর: পবিত্র রমজান উপলক্ষে ইফতারে ফল হিসেবে বিশেষ চাহিদা রয়েছে তরমুজের। সেই চাহিদা মেটাতে চলতি মৌসুমে চাঁদপুরে বেড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের তরমুজের সরবরাহ।

 

প্রতিদিন ১০-১৫টি ট্রলারে করে নদীপথে চাঁদপুরের চৌধুরীঘাটে নিয়ে আসা হচ্ছে এই তরমুজ। যা চাঁদপুরের আড়ৎ হয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায়, মেটাচ্ছে মানুষের চাহিদা। আর তরমুজের সরবরাহ বাড়ায় এখন কর্মব্যস্ততা বেড়েছে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর শহরের চৌধুরীঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, তরমুজ ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা। মেঘনাসংযুক্ত নদী ডাকাতিয়া হয়ে চাঁদপুরের আড়ৎ এলাকায় আসে তরমুজভর্তি বাল্কহেড ও ট্রলার। সেখান থেকে নামানো তরমুজগুলো ভ্যানগাড়ি ও মাথায় করে এনে স্তুপ করা হচ্ছে আড়তে। এরপর হাঁকডাক দিয়ে পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে তরমুজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যদিও গতবারের তুলনায় এবার তরমুজের দাম কম বলেই দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা।

শহরের নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আলম জানান, চাঁদপুরে তরমুজের চাষ না হওয়ায় বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে আসা তরমুজই আমাদের তৃষ্ণা মেটাচ্ছে। রমজান মাস হওয়ার কারণে এবার চাহিদা একটু বেশীই।

চৌধুরীঘাটের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, সরবরাহকৃত তিন শ্রেণির তরমুজের দাম পৃথকভাবে নির্ণয় করা হয়। বড় আকারের ১০০ তরমুজের দাম ২৬ থেকে ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া মাঝারি ধরনের তরমুজের দাম ১৫-১৮ হাজার টাকা। আর ছোট তরমুজ ৮-১০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শ্রমিক ইয়াছিন বাংলানিউজকে বলেন, চাঁদপুরে বেশি আসে ভোলার তরমুজ। এছাড়া বরিশালের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চাষীরা নিজ উদ্যোগে ট্রলারে করে তরমুজ নিয়ে আসেন। জেলায় চাঁদপুর ও হাজীগঞ্জ উপজেলায় তরমুজের বড় দুটো ঘাট রয়েছে। এসব ঘাট থেকে জেলার চাহিদা মেটানোর পর কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রামসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সড়ক পথে যাচ্ছে এই তরমুজ।

তরমুজের আড়ৎদার তারিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এবারের তরমুজ সন্তোষজনক না। পানিতে নষ্ট হয়েছে কিছু তরমুজ। যদিও ফলন বেশি হওয়ায় দাম কিছুটা কম।

চৌধুরীঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক কবির খান বাংলানিউজকে বলেন, চৌধুরীঘাটে প্রায় শতাধিক আড়ৎদার রয়েছেন। পশ্চিমাঞ্চলে হঠাৎ বৃষ্টির পানি ঢুকে তরমুজের ফলন কিছুটা নষ্ট হয়েছে। তবে দাম বিগত বছরের তুলনায় এখন পর্যন্ত কম আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।