ঢাকা, বুধবার, ২৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজধানীর সঙ্গে পূর্বাচলকে সংযোগ করতে নির্মাণ হচ্ছে ৭ কিলোমিটার মাদানি এভিনিউ

আহমেদ রাজু, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১০
রাজধানীর সঙ্গে পূর্বাচলকে সংযোগ করতে নির্মাণ হচ্ছে ৭ কিলোমিটার মাদানি এভিনিউ

ঢাকা: পূর্বাচল উপশহরকে রাজধানীর সঙ্গে সংযুক্ত করতে নতুন একটি এভিনিউ নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে রাজউক। সাত কিলোমিটার দৈর্র্ঘ্যরে এই সড়কটির নাম দেওয়া হচ্ছে মাদানি এভিনিউ।

নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২২৫ কোটি টাকা। খুব শিগগিরই শুরু হবে সড়কটির নির্মাণ প্রক্রিয়া। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানায়।
 
রাজধানীর ওপর থেকে মানুষের চাপ কমাতে সরকার বালু নদীর ওপারে পূর্বাচল উপশহর গড়ে তুলছে। পূর্বাচল হবে একটি পরিকল্পিত ও আধুনিক শহর। সেখানে থাকছে আবাসিক ও বাণিজ্যিক মিলিয়ে ৩৫ হাজার প্লট। শহরটিতে ফাইওভার, ওভারপাস ছাড়াও চারপাশ দিয়ে গড়ে তোলা হবে দৃষ্টিনন্দন লেক ও জলাধার। সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, নামি স্কুল-কলেজ ছাড়াও থাকবে অনেক অফিস আদালত। পূর্বাচলে সচিবালয় স্থানান্তরের পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের। তাই রাজউক এখন পূর্বাচলের উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। রাজধানীর সঙ্গে ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে না পারলে সেখানকার উন্নয়ন ঘটবে না। কিন্তু পূর্বাচলের সঙ্গে নগরীর কোনো যোগাযোগ নেই। তাই সরকার বিশাল বাজেটের এই সড়কটি নির্মাণের উদ্যেগ নিয়েছে। সড়কটি নির্মিত হলে পূর্বাচলের সঙ্গে রাজধানীর একটি সেতুবন্ধন সৃষ্টি হবে। এতে তাড়াতাড়ি ওই অঞ্চলের উন্নয়ন ঘটবে।
 
রাজউকের এক কর্মকর্তা জানান, গুলশানের মার্কিন দূতাবাস থেকে বালু নদী পর্যন্ত বিস্তৃত হবে মাদানি এভিনিউ। ১২০ ফুট চওড়া সড়কটির দৈর্ঘ্য হবে সাত কিলোমিটার। সড়কটি নির্মাণে কয়েকটি ব্রিজ ও কার্লভাট নির্মাণের প্রয়োজন হবে। সড়কটির নির্মাণ শেষ হলে বালু নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণে আরেকটি প্রকল্প নেয়া হবে। সেই প্রকল্পের মাধ্যমে বালুনদীর ব্রিজ থেকে মাদানি এভিনিউ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হবে। পূর্বাচলের ভেতর দিয়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে মাদানি এভিনিউ। এতে পূর্বাচলের সঙ্গে ঢাকা, নারায়গঞ্জ, চট্রগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা ও নোয়াখালি অঞ্চলের ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।
 
মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, মাদানি এভিনিউ নির্মাণে প্রকল্প এলাকার জমি অধিগ্রহণে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই জমি অধিগ্রহণের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিতে পারে বলে জানান গৃহায়ন মন্ত্রনালয়ের এক কর্মকর্তা। অনুমোদন পাওয়ার পর জেলা প্রশাসককে প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ করতে অনুরোধ জানাবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(রাজউক)। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হলেই সড়কটি নির্মাণে দরপত্র আহবান করবে রাজউক।
 
সূত্র জানায়, সড়কটি নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ বাবদ ১২০ কোটি ও বাকি ১০৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে অবকাঠামো নির্মাণে।
 
সড়কটি নির্মাণ সম্পর্কে রাজউকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেছেন, রাজধানীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা রাজউক নির্মাণ করেছে। সম্প্রতি বিজয় সরণি থেকে তেজগাঁও লিংক রোডও রাজউক নির্মাণ করেছে। তবে এই সড়কটি রাজউকের অনেক সাফল্যের  সঙ্গে আরেকটি সাফল্য যুক্ত হবে। তিনি বলেন, রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বাংলাদেশ সময় ১৮৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।