ঢাকা: ঈদ উপলক্ষে রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রির চতুর্থ দিনে উত্তরাঞ্চলের যাত্রীদের চাপ ছিলো। প্রথম ৫ মিনিটেই বিক্রি হয়ে যায় সব টিকিট।
একইসঙ্গে জামালপুর, নেত্রকোনা, যশোর, খুলনা, নোয়াখালী রুটের টিকিটও দ্রুত শেষ হয়ে গেছে।
তবে সিলেট রুটে চলাচলকারী ৪টি আন্তঃনগর ট্রেন জয়ন্তিকা, কালনী, উপবন, পারাবত এক্সপ্রেসের ৫০০ (পাঁচশত) টিকিট এখনও অবিক্রীত রয়েছে। এমনকি গতকাল রোববারেরও প্রায় ২০০ টিকিট অবিক্রীত রয়েছে।
সোমবার (১০ এপ্রিল) বাংলাদেশ রেলওয়ে সুত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ময়মনসিংহ, জামালপুর রুটের চলাচলকারী অগ্নিবীণা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, জামালপুর ও তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেটের চাহিদাও ছিল অনেক।
রাজশাহীগামী সিল্কসিটির পদ্মা এক্সপ্রেস, ধূমকেতু এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেসের এসি কোচের টিকিটও সকাল ৯টার সময়েই শেষ হয়।
চট্টলা, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর, মহানগর প্রভাতী, তূর্ণা ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের ৫ হাজার টিকেটের অধিকাংশ বিক্রি হয়ে গেছে। তবে বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রায় ২০০ সিট খালি ছিল।
উত্তরাঞ্চলের একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের টিকিট শেষ হতে সময় নেয় এক ঘণ্টা।
অন্যদিকে ময়মনসিংহ-নেত্রকোণা রুটের মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেসের দেড় হাজার টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে।
ঢাকা থেকে রাজশাহীতে চলা চারটি আন্তনগর ট্রেন- পদ্মা, সিল্কসিটি, ধুমকেতু ও বনলতা এক্সপ্রেসের টিকিটও শেষ হয়ে সাড়ে ৯টার দিকে।
‘বাংলাদেশ রেলওয়ে হেল্পলাইন’ নামক দেড় লখ রেলযাত্রীদের একটি ফেসবুক গ্রুপে এদিনও যাত্রীরা নানা ভোগান্তির নানা চিত্র তুলে ধরেছেন। উঠে এসেছে সহজ জেভির টিকিট সিস্টেমের নানা ভোগান্তির চিত্র।
আব্দুল আলিম সেতু নামে এক যাত্রী লিখেছেন, সহজের কিউ সিস্টেম এর এই অবস্থা। আধাঘণ্টা ধরে পিসি (ব্যক্তিগত কম্পিউটার)/মোবাইল চালু কইরা বসে ছিলাম বড় ভাইয়ের জন্য একটা টিকিট কাটতে।
পিসিতে ৮টায় সিট সিলেক্ট করে পেমেন্ট পর্যন্ত গেলাম, নগদ সিলেক্ট করার পর প্রসেড টু পেমেন্ট এ ক্লিক করার পর এভাবে ১০ মিনিট ধইরা লোডিং হইলো। তারপর ফেইল্ড হয়ে গেলো। এটারে কি কিউ সিস্টেম বলে?
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৩
এনবি/এসএ